Muzaffarpur: নালন্দার পর মুজাফফরপুরেও হিংসা, রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা

বিহারের মুজাফফরপুর (Muzaffarpur) জেলা থেকে বেরিয়ে আসছে বড় খবর। আসলে সাসারাম ও নালন্দার পর বিহারের মুজাফফরপুর জেলায়ও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনা সামনে এসেছে।

Curfew Imposed in Bihar After Communal Tension Erupts

বিহারের মুজাফফরপুর (Muzaffarpur) জেলা থেকে বেরিয়ে আসছে বড় খবর। আসলে সাসারাম ও নালন্দার পর বিহারের মুজাফফরপুর জেলায়ও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গভীর রাতে মুজাফফরপুরের সাকরা থানা এলাকার রামপুর বাখরিতে দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়, যার পরে তাদের তর্ক ধীরে ধীরে মারামারি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। বলা হচ্ছে, এক পক্ষ অন্য পক্ষের মুরগির খামারে আগুন দিয়েছে।

একইসঙ্গে ঘটনার পর থেকে মুজফফরপুরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকরা এলাকায় ক্যাম্প করছেন। গভীর রাতে সাকরা থানা এলাকার রামপুর বাখরিতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বর্তমানে পুলিশ সদস্যরা গ্রামে অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তথ্যমতে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করেছেন।

   

বলা হচ্ছে, রামপুর বাখরিতে প্রথমে কোনো বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়, পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক পক্ষ অন্যপক্ষের মুরগির খামারে আগুন দিয়ে অনেক ক্ষতি করে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যাইহোক, ভাগ্যের ব্যাপার যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, অন্যথায় সহিংসতা আরও বাড়তে পারত।

বিহারের সাসারাম ও নালন্দা জেলায় ইতিমধ্যেই তিনটি থেকেই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলছে। দুই জেলায় ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গার আগুনে পুড়ছে নগরীর অনেক এলাকা। গতরাতে সাসারামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে, যাতে আহত হয়েছে ৬ জনেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে, শনিবার নালন্দায় একটি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যাতে একজন গুলিবিদ্ধ হন, এই ঘটনায় পুলিশ সদস্য এবং অন্যান্য পথচারীরাও আহত হন।