বাংলা ও কেরলের রাজ্যসভা আসনের ভোট গ্রহণের দিন ঘোষণা করল কমিশন

News Desk, New Delhi: পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের একটি করে রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ২৯ নভেম্বর এই দুইটি আসনে নির্বাচন হবে। পশ্চিমবঙ্গ…

election commission Of India Office

News Desk, New Delhi: পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের একটি করে রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ২৯ নভেম্বর এই দুইটি আসনে নির্বাচন হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ১৫ সেপ্টেম্বর ইস্তফা দিয়েছিলেন। অর্পিতার ছেড়ে যাওয়া আসনেই উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন।

অন্যদিকে কেরলের সংসদ জেকে মণি পদত্যাগ করায় তাঁর আসনটিও শূন্য হয়। ওই আসনেও ভোটগ্রহণ করা হবে।জেকে মণি ইস্তফা দিয়েছিলেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু করোনাজনিত কারণে কেরলের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় ওই আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রেখেছিল কমিশন। সাংসদ পদে মণির মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত। অর্থাৎ মণির জায়গায় যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি প্রায় পৌনে তিন বছর সাংসদ হিসেবে থাকবেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত অর্পিতার সাংসদ পদে মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। অর্পিতার জায়গায় যিনি সাংসদ নির্বাচিত হবেন তিনি আগামী সাড়ে চার বছর সাংসদ পদে থাকতে পারবেন।

   

কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও বাংলায় আদৌ উপনির্বাচনের প্রয়োজন হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির উপস্থিতি এতটাই নগণ্য যে আগের দু’টি রাজ্যসভা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। কারণ বিরোধী বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জহর সরকার ও সুস্মিতা দেব জয়ী হয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগের দুইবারের মতো এবারও বাংলায় রাজ্যসভার উপনির্বাচনের কোনও প্রয়োজন হবে না। কারণ শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের মুখ পোড়াতে চাইবে না বিজেপি। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থী দিলে বিজেপির প্রকৃত বিধায়ক সংখ্যা কত সে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই প্রার্থী দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা প্রকাশ্যে আসুক সেটা চাইবে না বিজেপি।

কমিশন এদিন ভোটের যে নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে ৯ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৬ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি করা হবে ১৭ নভেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ২২ নভেম্বর। ২৯ নভেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। ওইদিনই ভোট গণনা হবে। ভোট গ্রহণ চলবে সকাল ৯’টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। গণনার কাজ শুরু হবে বিকেল ৫ টায়। কমিশন জানিয়েছে, বাংলা ও কেরলের এই দুই আসনের ভোট গ্রহণ সংক্রান্ত পুরো প্রক্রিয়াটি প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে ১ ডিসেম্বরের আগে।
কমিশন যে দুটি আসনের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে তার মধ্যে বাংলার নির্বাচন নিয়ে শাসকদলের তেমন কোনও উদ্বেগ নেই।

কারণ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একটাই কৌতুহল সেটা হল, এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস এবার কাকে প্রার্থী করবে। অর্পিতার পদত্যাগের কয়েকদিন আগেই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাবুল তাঁর সাংসদ পদে ইস্তফা দেন। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুলকেই কি ফের রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! নাকি বাবুল ছাড়া অন্য কাউকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে একটাই প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কে এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন।