সিআইডিকে ঘিরল দিল্লি পুলিশ, ঝাড়খণ্ডে অপারেশন লোটাস রহস্য জমজমাট

ঝাড়খণ্ডে অ-বিজেপি সরকার ফেলতে অপারেশন লোটাস অভিযোগ চলছে এমন অভিযোগে ক্রমাগত ঘনাচ্ছে রহস্য। মঙ্গলবার কলকাতায় যে ব্যবসায়ীর অফিস থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়েছিল তাঁর…

ঝাড়খণ্ডে অ-বিজেপি সরকার ফেলতে অপারেশন লোটাস অভিযোগ চলছে এমন অভিযোগে ক্রমাগত ঘনাচ্ছে রহস্য। মঙ্গলবার কলকাতায় যে ব্যবসায়ীর অফিস থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়েছিল তাঁর খোঁজে দিল্লিতে যান সিআইডি কর্তারা। সেখানে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশির সময় তাদের ঘিরে নেয় দিল্লি পুলিশ।

সিআইডির ১ ইনস্পেক্টর, ২ জন এসআই এবং একজন এএসআইকে তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সিআইডি সূত্রে খবর,সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়িতে সিআইডি অফিসাররা উপস্থিত হতেই বলা হয়, এই তল্লাশি অভিযান চালানো যাবে না।

   

মঙ্গলবার হেয়ার স্ট্রিটের বিকানের বিল্ডিংয়ে হানা দেয় সিআইডি কর্তারা। পলাতক ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল। শেয়ার ট্রেডিংয়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তদন্তের গতি ধরে এরপর দিল্লিতে অভিযান হতেই বাধা পেল সিআইডি। এদিকে সিআইডির তরফে দাবি করা হচ্ছে, দিল্লির ব্যক্তির বাড়িতে দ্রুত তল্লাশি অভিযান না চালানো হলে তথ্য বিকৃত করার সম্ভাবনা থাকছে।

ঝাড়খন্ডে সরকার ফেলতে বিজেপি ততপর এমন অভিযোগ করেছেন সে রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক জয়মঙ্গল সিং। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অর্থ সহ ধৃত বিধায়কদের দিয়ে কোটি কোটি টাকার টোপ দিয়েছে বিজেপি। এতে জড়িত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যদিও হিমন্ত সব অস্বীকার করেন। আর কলকাতায় সিআইডি জেরায় তিন সাসপেন্ডেড কংগ্রেস বিধায়ক স্বীকার করেন, তাদের সঙ্গে হিমন্তর আলোচনা হয়েছিল।

গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলার একটি গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার বিকেলেই বার্মোর বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং বলেন, তিন জন বিধায়কদের তরফে দলবদলের প্রস্তাব এসেছিল। বলা হয়েছিল বিধায়কদের অসমে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রত্যেক দলবদলু বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা এবং মন্ত্রীপদ। এরপরেই বেড়েছে সিআইডির তৎপরতা।

সিআইডি সূত্রে খবর, হেফাজতে নেওয়া ওই তিন বিধায়ক দাবি করেছেন গত মাসের প্রথম দিকে তাঁরা অসমে গিয়েছিলেন। সেখানে এক মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতিতে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে। ধৃত তিন বিধায়কদের নাম রাজেশ কাচ্ছাপ ও নমন কোঙ্গারি, ইরফান আনসারি। তিনজনের প্রথমে বিমানে করে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে বিমানে করে আসলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা ছিল বলে অন্যহাত হয়ে টাকা ঘুরেছিল।