ভারতের ১০টি বিপজ্জনক অস্ত্রের জেরে ভয়ে কাঁপছে চিন

যত সময় এগোচ্ছে ততই নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করছে ভারত। মিসাইল থেকে শুরু করে ট্যাঙ্ক, যুদ্ধ বিমান, সাবমেরিন একে একে নিজেদের ঝুলিতে পুরছে ভারত। এদিকে…

যত সময় এগোচ্ছে ততই নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করছে ভারত। মিসাইল থেকে শুরু করে ট্যাঙ্ক, যুদ্ধ বিমান, সাবমেরিন একে একে নিজেদের ঝুলিতে পুরছে ভারত। এদিকে সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, ভারতীয় সেনার কাছে এমন কিছু অস্ত্র রয়েছে, যা নিয়ে চিনও ভয় পাচ্ছে।

সীমান্ত বিবাদের সময় এই অস্ত্রগুলির মধ্যে কয়েকটি এলএসি-র কাছে মোতায়েন করা মাত্রই চিনের অবস্থা আরও খারাপ হয়। চিন জানে, এই অস্ত্রগুলি এমন যে ভারত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে। যেমন আইএনএস বিক্রমাদিত্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে অন্যতম। এটি ২৮৩.৫ মিটার লম্বা। এর বিম ৬১ মিটার। এটি একটি কিয়েভ-শ্রেণীর সংশোধিত বিমানবাহী রণতরী। যাকে ২০১৩ সালে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি পূর্বে সোভিয়েত নৌবাহিনী এবং পরে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জন্য কাজ করেছে। এর স্থানচ্যুতি ৪৫,৪০০ টন। এই জাহাজে ৩৬টি যুদ্ধ বিমান থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ২৬টি মিকোয়ান মিগ-২৯কে মাল্টি-রোল ফাইটার এবং কামোভ কা-৩১ এইডব্লিউ অ্যান্ড সি এবং কামোভ কা-২৮ এএসডব্লিউ হেলিকপ্টার।

আইএনএস চক্র পরমাণু সাবমেরিনঃ সোভিয়েত আমলের আকুলা শ্রেণী পারমাণবিক সাবমেরিন ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি। ১১০.৩ মিটার দীর্ঘ এই সাবমেরিনটির পৃষ্ঠে ঘণ্টায় ১৯ কিলোমিটার গতিবেগ রয়েছে। পানির নিচে এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। এটি সর্বোচ্চ ৬০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত যেতে পারে। এতে রয়েছে ২৮টি টর্পেডো। এছাড়াও, তিনটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলও মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এটি কেএইচ-৫৫ গ্রানাট ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, Schkwal Super Captive Torpedos দিয়ে সজ্জিত। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে চিনের সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ ইত্যাদি ধ্বংস করে দিতে পারে এই সাবমেরিন।

ব্রহ্মোস মিসাইলঃ শুধু ভারতেই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও মারাত্মক বলে মনে করা হয়। এটি একটি সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।৩০০০ কেজি ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮.৪ মিটার লম্বা। এটি ২০০ থেকে ৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের প্রচলিত, আধা-বর্ম ছিদ্রযুক্ত এবং পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের পরিসীমা ৪০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হল এটি স্থল বা সমুদ্র থেকে মাত্র ৩ থেকে ৪ মিটার উঁচুতে উড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৯৩৯ কিলোমিটার। মাঝপথের দিক পরিবর্তন হতে পারে।

S400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমঃ ২০০৭ সালের ২৮ এপ্রিল ভারতের এস-৪০০ উৎক্ষেপণ করা হয়। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মতে, ভারতের এস-৪০০ বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এস-৪০০-এর চারটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। এদের পরিসীমা ৪০ কিলোমিটার, ১২০ কিলোমিটার, ২০০-২৫০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৪০০ কিলোমিটার। এস-৪০০-এর চারটি ভ্যারিয়েন্টের গতি আলাদা- ৪০ কিলোমিটার পাল্লার গতি ৩১৮৫ কিমি/ঘণ্টা, ১২০ কিমি রেঞ্জের গতিবেগ প্রায় ৩৬৭৫ কিমি/ঘণ্টা, ২০০ ও ২৫০ কিমি রেঞ্জের গতি ৭২৮৫ কিমি/ঘণ্টা এবং ৪০০ কিমি রেঞ্জের গতি ১৭,২৮৭ কিমি/ঘণ্টা।

এছাড়াও আরও যে অস্ত্রগুলি আছে সেগুলি হল রাফায়েল, সুখোই, বরাক ৮ মিসাইল, অগ্নি ৫ মিসাইল, ধনুষ তোপ, বিএল-এসআরএসএম।