বিপজ্জনক যমুনা, দিল্লির বিস্তির্ণ এলাকা খালি করার নির্দেশ কেজরিওয়ালের

যমুনার বন্যায় বিপদ। রাজধানী দিল্লির নীচু অংশ খালি করে সেখানকার বাসিন্দারা যেন উঁচু এলাকায় চলে যান। দ্রুত নীচু এলাকা খালি করুন। এমনই নির্দেশ দিলেন দিল্লির…

যমুনার বন্যায় বিপদ। রাজধানী দিল্লির নীচু অংশ খালি করে সেখানকার বাসিন্দারা যেন উঁচু এলাকায় চলে যান। দ্রুত নীচু এলাকা খালি করুন। এমনই নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যমুনা বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। এমন ভয়াবহ যমুনার বন্যা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন দিল্লিবাসী।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রশাসনিক উদ্যোগে দিল্লির বিস্তির্ণ অংশ থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের সহায়তা নিবন্ধনের জন্য এনডিআরএফ কে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এর আগে কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, যমুনায় জলের স্তর বৃদ্ধির কারণ হরিয়ানার হথনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে উচ্চ পরিমাণে জল ছেড়ে দেওয়া। নদীর জল শহরে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দিল্লি পুলিশ বন্যাপ্রবণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

   

অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের তাদের বাড়িঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। কেজরিওয়াল বলেছেন, যমুনা নদীর কাছাকাছি ছয়টি জেলায় ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হবে। ক্যাবিনেট মন্ত্রী আতিশি মারলেনা জানিয়েছেন, দিল্লিতে পাল্লা থেকে ওখলা ব্যারাজ পর্যন্ত ৫০টি নৌযান মোতায়েন করা হবে।

দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার তালিকায় রয়েছে : বোট ক্লাব, মনাস্ট্রি মার্কেট, যমুনা বাজার, গীতা ঘাট, বিশ্বকর্মা কলোনি, খাড্ডা কলোনি, গড়ি মান্ডু, মজনু-কা-টিলা থেকে ওয়াজিরাবাদ পর্যন্ত প্রসারিত, বদরপুর খদ্দর, ডিএনডি – পুষ্ট ময়ূর বিহার। তিনি এসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড় ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।‌

যমুনার জলের স্তর বেড়েছে 207.71 মিটার ৷সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়েছিল যে বুধবার রাত নাগাদ জলের স্তর 207.72 মিটারে পৌঁছবে। রবিবার যমুনার জলস্তর সকাল 11টায় 203.14 মিটার থেকে সোমবার বিকাল 5 টায় 205.4 মিটার উপরে উঠেছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, “আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি নিয়ে‌ নিরাপদ স্থানে চলে যান”।

উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের কারণে বেশিরভাগ এলাকায় বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। একই সঙ্গে দিল্লিতে  যমুনা নদীর জলস্তর বিপদ চিহ্নের ওপর দিয়ে চলেছে। যমুনার জলস্তর ২০৭.৫৫ মিটারে পৌঁছেছে এবং এর সাথে ৪৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গেছে। যমুনার স্তর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

লাল কেল্লার কাছে পুরনো লোহার সেতু থেকে রেল ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যমুনার জল সম্পূর্ণ নীচু এলাকা দখল করে নিয়েছে। ১৯৭৮ সালে যমুনার সর্বোচ্চ জলস্তর ছিল, যা ২০৭.৪৯-এর কাছাকাছি ছিল। উচ্ছেদ ও উদ্ধার কাজে ৪৫টি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে।