নোটবন্দির ভাষণে দেশে কালো টাকা (Black Money) থাকবে না বলেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi) মোদী। তাঁর নোটবন্দি সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে তেমন কোনও কাজে আসেনি বলেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। কারণ দেশে কালো টাকা আছে। এবার কালো টাকার পরিমাণ কত তা জানাল মোদী সরকার।
০১৬ সালে নোট বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সোমবার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
কালো টাকার লেনদেন রুখতে নোটবন্দির প্রচলন নিয়ে বারবার সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এই নোটবন্দি নিম্নবিত্ত ও ছোট ব্যবসায়ী সহ বহু মানুষের জীবন ও জীবিকায় সরাসরি আঘাত করেছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানালেন,শুধুমাত্র বড়লোকদের কথা নয়, সমস্ত দরিদ্রদের পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত এনডিএ সরকার। তিনি বলেন, কংগ্রেস জমানায় রাজীব গান্ধী কেবলমাত্র ১৫ শতাংশ গরীব কল্যাণ প্রকল্পের জন্য রেখেছিলেন, সেখানেও সকলের কাছে টাকা যেত না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২৬ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি গরীব মানুষের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয় এবং প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চিত হয়। অর্থাৎ সরকারের বরাদ্দ অর্থের ১০০ শতাংশ গরীব মানুষ পাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রীর দাবি, ২০১৪, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন এবং সম্প্রতি গুজরাট নির্বাচন গুড গভর্নেন্সের জন্যেই জয়লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এটা ভীষণ জরুরি। কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হলে সেটা বাস্তবায়নের দিকে নজর দেন প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রত্যেকটি বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।