মন্দির চত্বরে বসতে পারবে না মুসলিম হকাররা! তীব্র বিরোধিতা বিজেপি মন্ত্রীর গলায়

বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে যেন তুঘলকি কাণ্ডকারখানা চলছে। কয়েকদিন আগে কর্নাটকের বেশ কয়েকটি মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মন্দির চত্বরে কোনও দোকান খুলতে পারবেন না মুসলিম…

বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে যেন তুঘলকি কাণ্ডকারখানা চলছে। কয়েকদিন আগে কর্নাটকের বেশ কয়েকটি মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মন্দির চত্বরে কোনও দোকান খুলতে পারবেন না মুসলিম হকাররা। এই নির্দেশ জানার পরও চুপ করে আছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। তবে সরকারের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করলেন দলেরই এক মন্ত্রী।

বিজেপি মন্ত্রী এইচ বিশ্বনাথ বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও কথা না বলে অকারণেই ধর্মীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। কিছু মুসলিম হকার মন্দিরের সামনে খাবার, ফুল-ফল এসব বিক্রি করেন। কিন্তু মন্দিরের সামনে বসতে দেওয়া না হলে ওরা খাবেন কী? ওঁদের পরিবার চলবে কীভাবে? হিন্দু-মুসলিম এসব কোনও কথা নয়। এটা হল জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন। এখানেই শেষ নয়, বিশ্বনাথ আরও জানিয়েছেন, মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পেছনে হয়তো বিজেপির খুব একটা হাত নেই। আরএসএস কিংবা বজরং দলের মস্তিষ্কপ্রসূত এই সিদ্ধান্ত।

   

বিভিন্ন মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের রাজ্যজুড়ে নিন্দা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলি পাল্টা বলেছে, তারা হিন্দু মন্দিরকে বয়কট করে প্রতিবাদ জানাবে। এরই মধ্যে বিজেপি মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে দলীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্নাটকের একাধিক মন্দির কর্তৃপক্ষ রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, মন্দির চত্বরে মুসলিমরা কোনও দোকান দিতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বোমাই বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা যদি আইন সম্মত হয় তাহলে তাঁর সরকার এ বিষয়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে বোম্বাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এবিষয়ে অবিলম্বে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। মন্দির চত্বরে মুসলিমরা দোকান দিতে পারবে না এটা হতে পারে না।