ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে আইআইএম-এর ডিরেক্টর, শোকজ নোটিস ধীরজ শর্মাকে

হরিয়ানার রোহতকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ধীরজ শর্মা। দেশের একটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পদে চাকরি পেতে ধীরজ যে আবেদনপত্র দাখিল…

হরিয়ানার রোহতকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ধীরজ শর্মা। দেশের একটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পদে চাকরি পেতে ধীরজ যে আবেদনপত্র দাখিল করেছিলেন তাতে দিয়েছিলেন ভুয়ো শংসাপত্র। ভুয়ো শংসাপত্র পেশ করে চাকরি পাওয়ার কারণে এবার তাঁর বিরুদ্ধে জারি হতে চলেছে শোকজ নোটিশ। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ডিরেক্টরকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হবে।

শিক্ষা মন্ত্রক এদিন জানিয়েছে, রোহতকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের বর্তমান ডিরেক্টর ধীরজের কাছে জানতে চাওয়া হবে কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে না? কেন তিনি ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন? কারণ দর্শানোর এই নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য ধীরজকে ১৪দিন সময় দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।

ডিরেক্টর পদে ধীরজের নিয়োগ ছিল প্রথম থেকেই বিতর্কিত। এবার তাঁর বিরুদ্ধে যে নোটিস আসতে চলেছে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হল।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর পদে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছে ধীরজ। দ্বিতীয় দফায় তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে একজন ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ৫ বছর চাকরি করার পর হঠাৎই কি সরকারের টনক নড়লো? এ ব্যাপারে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমবার ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, তারপর ২৮ জুন এবং সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর ধীরজকে তিনবার তিনটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে পাল্টা উত্তর আসেনি। সে কারণেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য ধীরজের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় আবেদনকারী জানান, ভুয়ো শংসাপত্র পেশ করে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যমন্ডিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিরেক্টর পদে আসীন হয়েছেন ধীরজ।