বিহারের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল জওহরলাল নেহরু মেডিকেল হাসপাতাল নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছোট ভাই নির্মল চৌবে শুক্রবার সন্ধ্যায় আইসিইউতে মারা গেলেন৷ তার পরে স্বজনরা তাঁর মৃত্যুর জন্য চিকিত্সকদের দায়ী করেন এবং আইসিইউতে কোনও ডাক্তার নেই অভিযোগ করে আইসিইউতে তোলপাড় সৃষ্টি করেন। অন্যদিকে, হট্টগোলের খবর পেয়ে হাসপাতালের সুপার ও আইসিইউ ইনচার্জকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে করে রাখা হয়।
খবর পেয়ে শহরের ডিএসপি সহ একাধিক থানার পুলিশ ও এসএসবি জওয়ানরা হাসপাতালে পৌঁছান। এ ঘটনার পর আইসিইউতে না থাকার কারণে দুই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন হাসপাতাল সুপার। স্বজনরা বলছেন, নির্মল চৌবে বিকেল ৪টার দিকে শ্বাসকষ্টের কথা বলেছিলেন, তারপরে তাকে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। এখানে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলেও আইসিইউতে কোনো চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় তিনি মারা যান।
এরপর পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তোলপাড় শুরু করে। একই সঙ্গে দুই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করে পরিবার শান্ত হয়। এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেন, জরুরি অবস্থায় রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, পরিবারের সদস্যরা আইসিইউতে চিকিৎসক না থাকার কথা বলছেন, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিটি ডিএসপি বলেন, এখন এ ধরনের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না এবং যারাই গাফিলতি করবে, তারা যেই হোক না কেন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্য রোগীদের স্বজনরাও বলছেন, হাসপাতালে তারা অবহেলিত এবং চিকিৎসকরা খুব কমই তাদের দেখতে আসেন। একদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তারপরও হাসপাতালের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হয় না।