দুই জঙ্গি গ্রেফতার করে ভারতের বড় বড় শহরে সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর্দাফাঁস

মহারাষ্ট্রের পুনে পুলিশ দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের পর একটি বড় তথ্য (Big Disclosure) প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর, জঙ্গিরা ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (Serial Blasts) প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

Serial Blasts Planned

মহারাষ্ট্রের পুনে পুলিশ দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের পর একটি বড় তথ্য (Big Disclosure) প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর, জঙ্গিরা ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (Serial Blasts) প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ জানায়, এই দুই জঙ্গিই বোমা তৈরিতে পারদর্শী ছিল। শুধু তাই নয়, তিনি পুনে, কোলহাপুর এবং সাতারার জঙ্গলে তিনবার বোমা তৈরি করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরীক্ষাও করেছিলেন। সূত্রের খবর, পুনে থেকে জয়পুর, মুম্বই ছাড়াও অনেক শহরই তাদের টার্গেটে ছিল।

পুনে পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাদা পাউডার পায়। তদন্তে এটি একটি বিস্ফোরক উপাদান হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্ফোরক বাষ্প আবিষ্কারক দ্বারা পাউডারটি সনাক্ত করা হয়েছিল তবে এর নাম স্পষ্ট করা যায়নি।

   

আদালত ৫ আগস্ট পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেন
এ ছাড়া অনেক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি হাতে রয়েছে। জব্দ করা ল্যাপটপে তার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পাওয়া গেছে। একটি পেনড্রাইভও উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পুনে পুলিশের কাছ থেকে এই ঘটনার তদন্ত এখন এটিএস-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে হাজির করার পর অভিযুক্তদের ৫ অগস্ট পর্যন্ত রিমান্ডে নিয়েছে এটিএস।

এটিও পড়ুন: INDIA Alliance: বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তুলনা মোদীর

জঙ্গলে ব্লাস্ট টেস্টিং
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইউএপিএর ধারাও জারি করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গি সাকি এবং খান উভয়ই আইএসআইএস-এর একটি উপ-সংগঠন সুফার সাথে সম্পর্কিত। তাদের টার্গেটে ছিল অনেক শহর। সূত্রের খবর, পুনে থেকে জয়পুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত অনেক শহরই তাদের টার্গেটে ছিল। পুলিশ তাদের সেই জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল যেখানে তারা বিস্ফোরণ করেছিল এবং জঙ্গল এলাকায় পরীক্ষা করেছিল। সেখান থেকে তারসহ আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।

এটিও পড়ুন: Hyderabad: হিজবুল্লাহ জঙ্গি সংযোগ ৭১২ কোটি টাকার চিনা জালিয়াতির পর্দাফাঁস

চুরি যাওয়া গাড়ি দিয়ে বিস্ফোরণের প্রস্তুতি
বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিরা চুরি যাওয়া গাড়ি বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ কারণেই পুনের কোথরুদে একটি গাড়ি চুরি করার সময় টহল দল তাদের হাতেনাতে ধরেছে। দুই জঙ্গির একজন সহযোগীও ছিল যে পলাতক, তার খোঁজ চলছে। দুই সজঙ্গিই NIA-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।