Bee: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে ভারতবাসী, কমছে মৌমাছির সংখ্যা, কেন এমন সতর্কতা?

মৌমাছির (Bee) সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ভারতে মধু মৌমাছির সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার কারণে এর কৃষিজমি এবং ফলের বাগানগুলিতে…

মৌমাছির (Bee) সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ভারতে মধু মৌমাছির সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার কারণে এর কৃষিজমি এবং ফলের বাগানগুলিতে (Agriculture) বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। দেশের খাদ্য উতপাদনের (Food production) জন্য একটি গুরুতর ধাক্কা হতে পারে।

কৃষি বিজ্ঞানী, কীটতত্ত্ববিদরারা সারা দেশে মৌমাছির স্বাস্থ্য এবং সংখ্যার প্রকৃত পরিস্থিত বোঝার জন্য জরুরি গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, প্রায় ৮০ শতাংশ ফসল এবং বেশিরভাগ ফল-বহনকারী গাছের পরাগায়নের প্রয়োজন হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে মধু মৌমাছি সমস্ত পরাগায়নের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দায়ী যা বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো ভারতেও ফসল উৎপাদনে সর্বাধিক ভূমিকা নেয়।

হায়দ্রাবাদের অধ্যাপক জয়শঙ্কর তেলঙ্গানা স্টেট এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির এপিকালচার টেকনোলজি সেন্টারের পরিচালক পি. রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, এটি বিপর্যয়ে পরিণত হওয়ার আগে কিছু করা দরকার। দেশে মৌমাছির অবস্থা সম্পর্কে। মৌমাছি সংখ্যা বোঝার জন্য কোনও দেশব্যাপী সমন্বিত গবেষণা না থাকলেও বিভিন্ন তথ্য দেখায় যে মৌচাকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ‘২০০৪ সালে যখন আমি এনআইআরডিতে (বর্তমানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পঞ্চায়েতি রাজ) এপিকালচার প্রোগ্রাম শুরু করি, তখন আমি বেশ মৌমাছি দেখতাম। আজ, আমি খুব কমই এসব দেখতে পাচ্ছি।’

কী হবে কীটনাশকের বেশি ব্যবহারে মৌমাছির সংখ্যা কমে গেলে? কৃষিবিজ্ঞানীদের দাবি সমূহ বিপদ। খাদ্য শস্য উৎপাদনে ঘাটতি হবেই। অতএব মৌমাছি বাঁচাও নীতি না নিলে বিপদ আমাদেরই বলছেন তাঁরা।