Kargil Vijay Diwas: শহীদদের শ্রদ্ধায় মহিলা বাইক অভিযানের নেতৃত্বে Indian Army-র চার নারী

প্রতি বছর ২৬ জুলাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের স্মরণে কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) পালন করা হয়। এই বছরের ২৪ তম কার্গিল বিজয় দিবসে…

প্রতি বছর ২৬ জুলাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের স্মরণে কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) পালন করা হয়। এই বছরের ২৪ তম কার্গিল বিজয় দিবসে ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের শহীদদের সম্মান জানাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১৯৯৯ সালে গ্রীষ্মে পাকিস্তানের নিয়মিত বাহিনীকে উচ্ছেদের জন্য সংঘাত করা হয়েছিল। পাকিস্তানের বাহিনী অনুপ্রবেশ করেছিল এবং নিয়ন্ত্রণরেখার (LoC) ভারতীয় দিকে শীতকালীন ফাঁকা পোস্ট দখল করেছিল, যার ফলে একটি অলিখিত চুক্তি লঙ্ঘন (unwritten agreement violation) করা হয়। বীরত্ব, সাহসিকতা এবং আমাদের সৈন্যদের অদম্য সংকল্পের জন্য ৫৫ দিনের যুদ্ধে পাকিস্তানের নিয়মিত বাহিনী এবং পাকিস্তানের অনিয়মিতদের প্রত্যাহার করতে এবং প্রতিরক্ষা স্থান খালি করতে বাধ্য করেছিল।

এই অপারেশনের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৫২৭ জন যুবক প্রাণ হারিয়েছিল, যার স্মরণে প্রতি বছর কার্গিল বিজয় দিবস পালন করা হয়। এই বছর শহীদদের শ্রদ্ধায় দিল্লি থেকে ৯৮০ কিলোমিটার মহিলাদের বাইক অভিযানের ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ জন মহিলা অংশ নেবেন এই অভিযানে। এই ৪ নারী সেনা বাহিনীরই অংশ।

এই ৪ জন নেতৃত্ব দেবেন পুরো বাইক অভিযানের। দ্রাসের (Drass) উদ্দেশে দিল্লি থেকে ৯৮০ কিলোমিটারের মহিলাদের বাইক অভিযান শুরু করা হবে। ১৮ জুলাই ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি থেকে বাইক অভিযান শুরু করা হবে। ২৬ জুলাই দ্রাসের কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে শেষ হবে এই বাইক অভিযান। এই মহিলারা তাদের শ্রদ্ধার মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন এবং তার জন্যই এই অভিযান।

নয়া দিল্লি থেকে কার্গিল পর্যন্ত বাইকে চেপে এই ৪ মহিলা প্রাই ৯৮০ কিমি পারি দেবেন এবং বাইক অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন। যারা (মহিলারা) অংশগ্রহণ করবেন তারা কেউ ডাক্তার তো কেউ শিক্ষক। এই ইভেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নারী শাশক্তিকরণ’ (Nari Shashaktikaran)।

ঐশ্বর্য দেশাই (Aishwarya Desai) পরিচালিত আয়রন হর্সেস বাইকিং একাডেমির (Iron Horses Biking Academy) প্রশিক্ষণের অধীনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঐশ্বর্য হচ্ছেন আর্মি ওয়াইফ এবং তার রয়েছে আইবিআর রেকর্ড। অনুপ্রেরণার বার্তা এবং সামরিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও স্থিতিস্থাপকতার বার্তা দিতে চান ঐশ্বর্য দেশাই।