Parliament: লোকসভা থেকে সাসপেন্ড বিরোধীপক্ষের সব সাংসদ

নজিরবিহীন। লোকসভা অধিবেশন বিরোধী শূন্য। অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধীপক্ষের সব সাংসদ। এমন ঘটনা আর কবে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না সংসদ বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে,…

PM Modi

নজিরবিহীন। লোকসভা অধিবেশন বিরোধী শূন্য। অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধীপক্ষের সব সাংসদ। এমন ঘটনা আর কবে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না সংসদ বিশেষজ্ঞরা।

জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধীশূন্য লোকসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা করবেন। এক্ষেত্রে বিজেপির অবস্থান,সংসদ অধিবেশন ভন্ডুল করার কারণে ওই সাংসদের নিয়মমাফিক সাসপেন্ড করা হয়। গুরুত্বপূর্ন বিল উত্থাপন যেমন হওয়ার কথা তেমন হবে। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধী নেতারা গণ স্থগিতাদেশের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি ভিন্নমতকে দমন করে এবং সংসদীয় বক্তৃতা বন্ধ করে “গণতন্ত্রকে হত্যা” করছে।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন বিরোধীহীন সংসদে মোদী সরকার এখন গুরুত্বপূর্ণ মুলতুবি আইনগুলিকে বুলডোজ করতে পারে, কোনও বিতর্ক ছাড়াই যে কোনও ভিন্নমতকে চূর্ণ করতে পারে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেছেন, বিরোধী সাংসদরা লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে অপমান করায় এই পদক্ষেপটি প্রয়োজনীয় ছিল। কংগ্রেস এবং তার মিত্রদের তাদের আচরণের সাথে দেশকে “বিব্রত” করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। গয়াল বলেছেন যে বিরোধী সদস্যরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদীয় কার্যক্রম ব্যাহত করেছিলেন।

সংসদে স্নোক বম্ব হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী সাংসদদের প্রশ্নে জর্জরিত সরকারপক্ষ-বিজেপি। বিরোধী সাংসদদের তীব্র হট্টোগোলের জেরে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন লোকসভা ও রাজ্যসভার অধ্যক্ষরা।সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। মঙ্গলবারও বিক্ষোভ জারি থাকে। এর জেরে বাকি বিরোধী সাংসদদেরকেও সাসপেন্ড করা হয়।