AFSPA: আংশিক নয় পুরোপুরি প্রত্যাহার হোক আফস্পা, দাবি চানুর

আফস্পা (AFSPA) প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন করেছিলেন। গোটা বিশ্বে মানবাধিকার কর্মীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম হয়ে উঠেছিলেন ইরম শর্মিলা চানু। তাঁকে বলা…

Irom Sharmila

আফস্পা (AFSPA) প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন করেছিলেন। গোটা বিশ্বে মানবাধিকার কর্মীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম হয়ে উঠেছিলেন ইরম শর্মিলা চানু। তাঁকে বলা হত মণিপুরের আয়রন লেডি। কেন্দ্র সরকার আফস্পা তুলে নেওয়ার বার্তা দেওয়ায় এতদিনে তাঁর সেই দাবি কিছুটা হলেও পূরণ হলো।

তবে চানু জানান আংশিক নয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের যে সমস্ত রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন অর্থাৎ আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট আফস্পা রয়েছে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র।

   

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আফস্পা আংশিক প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণাকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন চানু। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এতে খুব একটা কাজ হবে না। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করা দরকার।

তিনি জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বে আফস্পা জারি রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ইম্ফল শহরের খুব কাছেই আফস্পাকে হাতিয়ার করেই সেনাবাহিনী ১০ জনকে হত্যা করেছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন চানু। অনশনরত অবস্থায় খাওয়ানোর জন্য তাঁকে হাসপাতালে তুলে নিয়ে গিয়ে গলায় নল ঢুকিয়ে খাওয়ানো হয়। সেই থেকে ইম্ফলের হাসপাতালেই অনশন চালিয়ে যান চানু। ২০১৬ সালে তিনি অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। পরের বছর মণিপুর বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন চানু। যদিও নির্বাচনে সাফল্য মেলেনি। তার পরের বছরই অবশ্য তিনি বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে সেখানেই চলে যান।

আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে অনশন চালিয়ে যাওয়া চানু অবশ্য চান, এই আইন পুরোপুরি বাতিল করা করা হোক। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের নৃশংস আইন থাকতে পারে না বলেই জানিয়েছেন আয়রন লেডি।