Fraud : অভিনব প্রতারণা, ডাক্তার সেজে বছরের পর বছর চিকিৎসা করছিল নিরাপত্তারক্ষী

সম্প্রতি এক ভুয়ো চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে প্রাণ হারান আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫ জন মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার টোকাওয়াড়ে এলাকায়। হঠাৎ করে একটি এলাকায়…

সম্প্রতি এক ভুয়ো চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে প্রাণ হারান আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫ জন মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার টোকাওয়াড়ে এলাকায়। হঠাৎ করে একটি এলাকায় ৫ জন মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। কী কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হল তার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য  (Fraud)।

জানা গিয়েছে, যে চিকিৎসকের হাতে ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল তার নাম পাণ্ডুরাঙ্গ গোলাপ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, প্রাইমারি স্বাস্থ্য বিভাগে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন পাণ্ডুরাঙ্গ। পরে সে ডাক্তার সেজে প্রতারণা শুরু করে। ২০০৯ সালে নিজের চেম্বার খুলে বসেন এই কীর্তিমান। তখন থেকেই গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ চিকিৎসার জন্য যেতেন তাঁর কাছে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ রোগীদের লিখে দিতেন পাণ্ডুরাঙ্গ। বিশ্বাস করেই তাঁরা সেই ওষুধ খেতেন। পাণ্ডুরাঙ্গের ভুল চিকিৎসার কারণেই অকালে প্রাণ গিয়েছে ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন মাসের গর্ভবতী এক মহিলা। আদিবাসী ক্রান্তি সেনা নামে স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য দীনেশ যাদব বলেছেন, গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে শুধু সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির ওষুধ মেলে। শরীর বেশি খারাপ হলে যেতে হয় জেলা হাসপাতালে।

মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছেন পাণ্ডুরাঙ্গ। ডাক্তার সেজে তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা করে গিয়েছেন। গ্রামের দরিদ্র, অশিক্ষিত মানুষ নির্দ্বিধায় তাঁর চিকিৎসায় বিশ্বাস করেছিল। সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই ৭২ বছরের এই নিরাপত্তারক্ষী চিকিৎসা করে গিয়েছেন। যার বলি হতে হল পাঁচজনকে। এই প্রতারকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে আদিবাসী ক্রান্তি সেনা।

দীনেশ যাদব জানিয়েছেন, হঠাৎ করে একসঙ্গে পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয় বড় হাসপাতালে।

সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণেই ওই ৫ জন মৃত্যুমুখে পর্যবসিত হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বিষয়টি পুলিশকে জানায়। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে পাণ্ডুরাঙ্গকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই পাণ্ডুরাঙ্গকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পাণ্ডুরাঙ্গের ভুল চিকিৎসায় আর কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।