ঢুকেই পাখির কলতানে মন ভালো হয়ে গেল। যেদিকে চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। মাঝে মাঝে সিঁড়ি দিয়ে বয়ে চলেছে দারকেশ্বর নদ। মেঘলা আকাশ, ক্ষণিকের জন্য মেঘের ফাঁকে রোদের মুচকি হাসি, কনকনে ঠান্ডা- সব মিলিয়ে মনে হবে কোনও হিল স্টেশন আছেন। ( Travel Story )
কথা হচ্ছে আরাম বাগের এক বাগানে। যার একদিকে ছোটো-বড়ো টবে, বাগানের মাটিতে, গ্রিন হাউসে রয়েছে চেনা-অচেনা গাছেদের সারি। সেই সঙ্গে অস্ট্রিচ, এমু পাখির বাসস্থান। অন্যদিকে বেনিয়াসহকলার বাইরে কোনও রঙ আবিষ্কার হাতছানি দেওয়া অজস্র পাখি নিজেদের মর্জিমতো গান ধরে বাতাস মুখরিত করছে। এসবের মাঝে একটু এগোতেই নদী বাঁঁধ। যা পেরিয়ে দারকেশ্বরের চরে যেতেই ঠান্ডা হাওয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে আপনার মন প্রাণ অনন্দে ভরিয়ে তুলবে। তবে এমন দৃশ্য উপভোগ করতে হাজার মাইল পড়ি দিতে হবে না। আপনার বাড়ির কাছেই আছে এমন এক জায়গা। ( Travel Story )
ডেস্টিনেশন: আরামবাগ ট্রি হাউস। এখানে তোতাপুরি, আম্রপালি, হিমসাগর ও গোলাপখাস- চারটি ট্রি হাউস আছে। যার মধ্যে একটি গাছ রেস্তোরাঁ। প্রতিটি ঘর সুন্দর করে সাজানো। এসি, গিজার, টিভি সব আছে। বেডরুমে ডবল বেড, ড্রেসিং ইউনিট, কাবার্ড বেতের তৈরি। সেই সঙ্গে টাইম পাসের জন্য তীর-ধনুক থেকে শুরু করে ক্যারাম, টেবল টেনিস সব মজুত রয়েছে। তবে রেস্তোরাঁর বারান্দায় বসে, দারকেশ্বরকে সামনে রেখে, চায়ের সঙ্গে গল্প করার আমেজের কাছে এসব পানসে।
<
p style=”text-align: justify;”>কোথায় থাকবেন: আরামবাগ ট্রি হাউস। যোগাযোগ ফোন নং – ০৩৩৬৪৫০৪৪০৭, ৯২৩০০৮৫০৮৪।
ইমেল: aambagan.treehouse@pallishree com
চেক ইন টাইম: দুপুর ১২ টা।
চেক আউট টাইম: সকাল ১১ টা।
ভাড়া: ডবল বেডরুম ৪০০০ হাজার। NEFT বা চেক দিয়ে অ্যাডভ্যান্স বুকিং করতে হবে।
কীভাবে যাবেন: ধর্মতলা থেকে হুগলী ব্রিজ দিয়ে কোনও এক্সপ্রেস ধরে ডানখুনি, সিঙ্গুর, চাঁপাডাঙা হয়ে আরামবাগ।
কী খাবেন: কামারপুকুরের সাদা বোঁদে।