ত্রিপুরা: সন্তোষ মোহনের নেতৃত্বে বাম হটিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়েছিল, সুস্মিতায় বাজি মমতার

#Tripura নিউজ ডেস্ক: পিতা সন্তোষমোহন দেব পাঁচবার অসমের শিলচরের সাংসদ। দুবার ত্রিপুরা থেকে নির্বাচিত। তাঁর নেতৃত্বেই কংগ্রেস ত্রিপুরায় হারিয়েছিল কিংবদন্তি সিপিআইএম নেতা নৃপেন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে…

Susmita Dev

#Tripura
নিউজ ডেস্ক: পিতা সন্তোষমোহন দেব পাঁচবার অসমের শিলচরের সাংসদ। দুবার ত্রিপুরা থেকে নির্বাচিত। তাঁর নেতৃত্বেই কংগ্রেস ত্রিপুরায় হারিয়েছিল কিংবদন্তি সিপিআইএম নেতা নৃপেন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চলা বামফ্রন্ট সরকারকে। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ প্রয়াত সন্তোষ মোহনের কন্যা সুস্মিতাকে এবার আগরতলার রাজনৈতিক মাঠে বাজি ধরলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার ত্রিপুরায় পৌঁছান সন্তোষ মোহন কন্যা সুস্মিতা দেব। তিনি সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে সুস্মিতা দেব রাজ্যে আসন্ন বিধানসভার ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় কংগ্রেসের যে ভোটব্যাংক রয়েছে সেটির দিকে নজর তৃণমূল কংগ্রেসের। ফলে প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যাকে আগরতলার রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বুধবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুস্মিতা দেব। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সংগঠন মজবুত করতে ত্রিপুরায় এসেছেন। এর পরেই তাঁর ইঙ্গিত জোটের দিকে। সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন আসন ভাগাভাগি নিয়ে যার সঙ্গে চূড়ান্ত রফা হবে তাদেরই জোটে নেওয়া হবে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মূল রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি।

অসমের বরাক উপত্যকা থেকে ত্রিপুরার রাজনীতিতে নেমেই সদ্য তৃণমূলী হওয়া সুস্মিতা দেবের ইঙ্গিত এ রাজ্যেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষের সরকার তৈরি হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অসমের বরাক উপত্যকার জবরদস্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বাঙালি নেত্রী। সুস্মিতা তৃণমূলে আসার পরেই ধারণা করা হচ্ছিল ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটে তাঁকে নামাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগরতলায় পৌঁছে সুস্মিতা জানিয়েছেন, মমতাদি যে পতাকা হাতে দিয়েছেন তাই নিয়ে ত্রিপুরায় লড়াই করব। অসমের বাংলাভাষী এলাকা বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার তাবড় নেত্রী সুস্মিতা। শিলচর থেকে দুবারের সাংসদ ছিলেন। গত লোকসভা ভোটে তিনি পরাজিত হন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা শাখার নেত্রী ছিলেন।