Tiyasha Roy Interview: ‘শ্যটের মাঝে হঠাৎ নাক ডাকার আওয়াজ’ তিয়াসা রায়

ক্যামেরা চলছে। আমি শট দিচ্ছি। হঠাৎ বিকট আওয়াজ। ( Tiyasha Roy )  এই কী হােল ! কী হােল! না কিছু, নাক ডাকার আওয়াজ। তা কে…

Tiyasha Roy

ক্যামেরা চলছে। আমি শট দিচ্ছি। হঠাৎ বিকট আওয়াজ। ( Tiyasha Roy )  এই কী হােল ! কী হােল! না কিছু, নাক ডাকার আওয়াজ। তা কে নাক ডাকছেন? কে আবার আমার বড়দা, কুশল দা। ঘুম, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা—এই তিনে মিলে ছিল আমাদের ‘কৃষ্ণকলি’ সেট।

 মিঠাই-সিডের সঙ্গে বাজিমাত করল উর্মি 

আমি না এখনও বুঝে উঠতে পারি না, যে কীভাবে এতগুলাে আলাদা আলাদা মানুষের স্বভাব এক্কেবারে একরকম হয়। কী বলব, এখানের সবার ফেভরিট হল খাওয়া আর ঘুম। ( Tiyasha roy ) একদিনের কথা, আমার আর নিখিলের সিন ছিল—যেখানে দেখা যাবে, ছােটকর্তা শুয়ে আছে আর আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু শট শেষে দেখা যায়, অভিনয় নয় সত্যি নিখিল ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু নিখিল নয়, সুযােগ পেলে সবাই আমরা ঘুমাই। আর খাওয়ার কথা বলতে গেলে গল্পই ফুরাবে না। শুধু এইটুকু বলি, ‘কৃষ্ণকলি’ সেটে কেউ ডায়েট করত না। ইনফ্যাক্ট করতে পারবেও না। যে কোনও ইস্যুতে এখানে সবার মুখে একটাই কথা ছিল, ‘তাহলে খাওয়া’। কি বলব দিন গুলো ভীষণ মিস করি।

রাজদা’ থেকে ‘রাধিকা’ জার্নিটা বিশাল: স্বস্তিকা

মেকআপ রুম ছিল আমাদের আড্ডার আসর। ( Tiyasha roy ) ওখানে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খাওয়ার সাজিয়ে যাকে বলে কবজি ডুবিয়ে খেতাম, সঙ্গে আড্ডা মারা, আর অবশ্যই ঘুম। আর একটা কথা সিরিয়ালে আপনারা দেখেছেন, রাধারানি কৃষ্ণকলিকে একদম সহ্য করতে পারে না। কিন্তু। ব্যাক ক্যামেরায় আমার আর ওর কিন্তু গলায় গলায় ভাব। যেদিন প্যাকআপ আগে হত, সেদিন ও আর আমি মিলে বেরিয়ে পড়ি। আমাদের মধ্যে কমন হল দু’জনেই খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আমরা এতােটাই ফুডি যে শটের গ্যাপিং থাকলে, ড্রেস চেঞ্জ করে মুখের মেকআপের ওপর ওড়না জড়িয়ে বাইরে খেতে চলে যাই।

 মিঠাই-সিডের সঙ্গে বাজিমাত করল উর্মি

<

p style=”text-align: justify;”>তবে এই মিল বা ভালােবাসা শুধু তারকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এমনটা নয়।‘কৃষ্ণকলি’ সিরিয়াল অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক টিম, ক্যামেরাপার্সন থেকে শুরু করে মেকআপ আর্টিস্ট, কস্টিউম ডিজাইনার, টেকনিশিয়ান সবাই ভালােবাসার একটি সুতােয় গাঁথা ছিল। তাইতাে এখানে যারা অন্য সেটেও কাজ করে, তারা এসে বলত, “জানিস শুধু ভাবি কখন কৃষ্ণকলি’র সেটে যাব। ওখানে গিয়ে দু’ঘণ্টা বসে থাকলেও কোনও ব্যপার নয়। এত মজা হয় এখানে যে, কোথা দিয়ে সময় পার হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা।