ছবির শুটিং মাঝ পথে বন্ধ করে দিয়েছিলেন টিনু আনন্দ, কী ঘটেছিল অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে

ভারতীয় চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের মধ্যে অন্যতম অমিতাভ বচ্চন। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তিনি অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত আর অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই কারণ। তাঁর অভিনয়ের কোন তুলনা হয় না।

Amitabh Bachchan faces unexpected delay as Tinu Anand stops film shoot

ভারতীয় চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের মধ্যে অন্যতম অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তিনি অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত আর অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই কারণ। তাঁর অভিনয়ের কোন তুলনা হয় না। তাঁর অভিনয় বিচার করার মতো ক্ষমতা আমাদের কারণ নেই। তুফান থেকে শুরু করে শোলে, আন্ধা কানুন থেকে শুরু করে সূর্যবংশম একাধিক সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। আর ঠিক সেই কারণেই জিতে নিয়েছেন ‘বিগবি’ খেতাব।

তবে একটা সময় অভিনয়ের পাশাপাশি নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন তবে সে প্রযোজনা সংস্থা অবশ্যই বেশিদিন চলেনি। তাঁর কারণ একের পর এক সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে অসফল হয়। হিন্দি পাশাপাশি তামিল তেলেগু মালায়ালাম ভাষা একের পরের ছবি পরিচালনা করেন তিনি তবে সেগুলি একটাও দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি।

১৯৯৮ সালে নিজের প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে ‘মেজর সাব’ ছবির শুটিং শুরু করেন তিনি। আর ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা টিনু আনন্দ। বলি পাড়ায় কান পাতলে শোনা যায় ছবির শুটিংয়ের সময় পরিচালক এবং অমিতাভ বচ্চনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। যার জেরে ছবি মাঝপথে ছেড়ে চলে যান টিনু আনন্দ। মূলত একটি একশন দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং যার ফলে অমিতাভ বচ্চনের মুখের উপর কথা বলেই শুটিং ফ্লপ ছাড়েন পরিচালক।

সিনেমা এভাবে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে খানিকটা বিপদে পড়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেই সময় অমিতাভ বচ্চনের পাশে দাঁড়ান অজয় দেবগন। অজয় দেবগন ছবির শুটিং শেষ করার জন্য ডেকে পাঠান রোহিত শেট্টিকে, তাঁরপরে শুরু হয় ছবির শুটিং। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অজয় দেবগন জানিয়েছেন, ‘মেজর সাব ছবির শুটিংয়ে কোনরকম সমস্যা হয়নি তাদের। তবে টিনু আনন্দ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে মাঝপথে শুটিং ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন’।