প্রথম উপার্জন ২৫ টাকা, শেষকালে লতার সম্পত্তি কত জানেন

কাজটাকেই নিজের ধ্যানজ্ঞান রেখেছিলেন। যে কাজ গান গাওয়া। ছোটবেলা থেকেই জীবনযুদ্ধ। অর্থের তাগিদেই ছবিতে অভিনয় করতে হয়েছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ট্রাগল তাঁকে লতা মঙ্গেশকর তৈরি করেছে।…

কাজটাকেই নিজের ধ্যানজ্ঞান রেখেছিলেন। যে কাজ গান গাওয়া। ছোটবেলা থেকেই জীবনযুদ্ধ। অর্থের তাগিদেই ছবিতে অভিনয় করতে হয়েছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ট্রাগল তাঁকে লতা মঙ্গেশকর তৈরি করেছে।

বাবার ছিল নট্টকোম্পানি। যা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা চলে আসেন পুণেতে। বাবাই ছিলেন পরিবারের বটবৃক্ষ। হঠাৎ সেই বাবা চলে গেলেন। লতা মাত্র তেরো। আছে আশা, ঊষা, মিনা আর হৃদয়নাথ। পুরো পরিবারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।পয়সাও সংসারে দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ল। কাজে মনপ্রাণ বসিয়ে দিলেন লতা। শোনা যায়, চা-বিস্কুট খেয়ে দিনের পর দিন গান রেকর্ডিং করে যেতেন পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ছোটবেলা থেকেই জীবনযুদ্ধ। অর্থের তাগিদেই ছবিতে অভিনয় করতে হয়েছিল।

   

১৯৪২-এ মরাঠি ছবি ‘কিতী হসাল’-এ প্রথম গান রেকর্ড করেন লতা। ১৯৪৫-এ ‘নবযুগ চিত্রপট’ মুম্বই পাড়ি দেয়। লতাজির প্রথম উপার্জন ছিল ২৫ টাকা। প্রথম বার মঞ্চে গাওয়ার জন্য লতা ওই ২৫ টাকা পান। তার পর তো স্বপ্নের উড়ান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মানুষেরও মন জয় করেছিল সুরেলা কণ্ঠ।

বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সুরসম্রাজ্ঞীর মাসিক আয় ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। সেই অর্থ আসত তাঁর গানের রয়্যালিটি থেকে। কোনও কোনও রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ‘নাইটেঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’র সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনশো কোটি নয়, সম্পত্তির পরিমাণ ১০৭-১১৫ কোটি।

শোনা যায়, গাড়ির বিষয়ে শৌখিন ছিল সংগীতসম্রাজ্ঞী। গাড়ির দুর্দান্ত সংগ্রহ ছিল লতা মঙ্গেশকরের। তাঁর বাড়ি ‘প্রভুকুঞ্জে’র গ্যারাজে ছিল কিছু সেরা এবং স্টাইলিশ গাড়ি। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে গাড়ির প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা বলেছেন লতা। কেরিয়ারের শুরুতে তাঁর ছিল একটি শেভরলে। মায়ের নামে গাড়িটি কিনেছিলেন ইন্দোর থেকে। লতার গ্যারেজে ছিল বুইক এবং ক্রিসলার। পরে যশরাজের তরফে তাঁকে একটি মার্সিডিজ উপহার দেওয়া হয়।