আসছে মাথা কাটার ফরমান, ইঙ্গিত দিল সরকারি তালিবান

নিউজ ডেস্ক: দ্রুত শুরু হবে অপরাধের কঠিন শাস্তি। মাথা ও হাত কেটে নেওয়ার নিয়ম ফের লাগু হচ্ছে আফগানিস্তানে। এমনই জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটির সরকার।  বিবিসি জানাচ্ছে,…

afgan women

নিউজ ডেস্ক: দ্রুত শুরু হবে অপরাধের কঠিন শাস্তি। মাথা ও হাত কেটে নেওয়ার নিয়ম ফের লাগু হচ্ছে আফগানিস্তানে। এমনই জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটির সরকার।  বিবিসি জানাচ্ছে, তালিবান ধর্ম মন্ত্রকের অন্যতম মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবির হুঙ্কার ফের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া শুরু হবে। তালিবান সরকার তাদের নিয়মে অপরাধীদের শাস্তি দেবে। এর জন্য যা রীতি রয়েছে ধর্মীয় গ্রন্থে তাই প্রয়োগ হবে।

মোল্লা নুরুদ্দিন বর্তমানে তালিবান সরকারের তরফে জেল পরিদর্শনের দায়িত্বে। তার দাবি, তেমন দরকার পড়লে গুরুতর অপরাধের দন্ড হিসেবে অপরাধীর দেহের অঙ্গ কাটা হবে। মোল্লা নুরিদ্দিনের দাবি, অন্য কোনও দেশের আইন ও শাস্তি নিয়ে তালিবান মন্তব্য করেনা।কিন্তু আফগানিস্তানে কী আইন ও শাস্তি প্রয়োগ করা হবে তা আমরাই ঠিক করব। এর জন্য ধর্মীয় গ্রন্থের নির্দেশ অনুসরণ করা হবে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

বিবিসি জানাচ্ছে, তালিবানি রীতিতে শাস্তি দানের ভয়ঙ্কর মুহূর্ত ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে শুরু করেছিল তালিবান। সেবছরেই তারা প্রথমবার আফগানিস্তানের সরকার গড়ে। ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের সরকার ছিল। এই সময়ে প্রকাশ্যে মাথা কেটে, গুলি করে মারার শাস্তি দেওয়া হতো। বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাত পা কেটে নেওয়া হতো। প্রথম তালিবান আমলে মহিলাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা ছিল লাগামছাড়া। বহু মহিলার মৃত্যুদণ্ড হয় প্রকাশ্যে।

গত দু দশক ভয়াবহ এই শাস্তি ছিল না আফগানিস্তানে। কিন্তু আমেরিকান সেনা নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতেই গত ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় তালিবান সরকার শুরু হয় আফগানিস্তানে। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করে, এবারের তালিবান সরকার হবে পূর্বের তুলনায় নরম।

এদিকে সরকার গঠনের পর পুরনো রীতি শুরু করেছে তালিবান জঙ্গিরা। মহিলাদের উপর আরোপ হয়েছে বিশেষ নিয়ম। এরপর তাদের তরফে পুরনো শাস্তির নিয়ম ফের চালুর ইঙ্গিত দেওয়া হলো।