অমঙ্গল হয়নি! দেড় ঘণ্টার ভূমিকম্প ক্ষয়ক্ষতি শূন্য

#Marsquake নিউজ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা ধরে টানা নব্বই মিনিটের মাটি কাঁপা। কম্পনের মাত্রা ৪.২ । এত দীর্ঘ ভূমিকম্পের নজির আগে দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা চমকে গেলেন…

Big Marsquake

#Marsquake
নিউজ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা ধরে টানা নব্বই মিনিটের মাটি কাঁপা। কম্পনের মাত্রা ৪.২ । এত দীর্ঘ ভূমিকম্পের নজির আগে দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা চমকে গেলেন তবে অমঙ্গলের কিছু হয়নি কারণ এ তো আর বিশ্বের বিষয় নয়। মঙ্গল গ্রহের ব্যাপার। সেখানে কম্পন যত লম্বা হোক না কোন ক্ষয়ক্ষতি শূন্য।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মনুষ্যবিহীন মহাকাশ যান ‘ইনসাইট’ মঙ্গল গ্রহ থেকে তিনটি বড় ভূমিকম্পের তথ্য পাঠিয়েছে। এসব ভূমিকম্প পর্যালোচনা করে মঙ্গল সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বিজ্ঞানীরা।

গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ১৮ সেপ্টম্বর মঙ্গলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এই কম্পন ৯০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়িত্ব হয়। এর আগে অবশ্য ২৫ আগস্টও মঙ্গল গ্রহে দুটি বড় ভূকিম্পের তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল ইনসাইট। ওই ভূমিকম্প দুটির ছিল ৪.২ ও আরেকটি ছিল ৪.১ মাত্রার। 

এর আগে ২০১৯ সালে এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়। যার মাত্রা ছিল ৩.৭ রিখটার স্কেল। তবে এই ভূমিকম্পটি তার চেয়ে ৫ গুন শক্তিশালী।  এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মঙ্গলে ভূমিকম্প হয়।  

মঙ্গলের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে পারবেন জন্মের সময় মঙ্গলগ্রহ কেমন ছিল। এসব বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা লাভ করতে পারলে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, তা জানার পথে কয়েক ধাপ এগোতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। 

কিন্তু টানা দেড় ঘণ্টার কম্পন! এর পিছনে কারণ কী? গবেষকরা শুরু করেছেন নতুন করে। মঙ্গলে কি অমঙ্গল কিছু হবে, তারই ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে লাল গ্রহের মাটি?এমনই সব বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরছে মাহাকাশ গবেষকদের মধ্যে। ইনসাইট পাঠাচ্ছে তথ্য ও ছবি।