Rukmini Maitra Interview: ‘দেব ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে নিজেকে দেখতে চাই’ 

একা হাতে সামলাচ্ছেন ছবির প্রচার। রয়েছে ফটোশুটও। সব মিলিয়ে বেজায় ব্যস্ত রুক্মিণী মৈত্র। তারই মাঝে সময় বের করে আডডা দিলেন আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে। (  Rukmini…

Rukmini Maitra

একা হাতে সামলাচ্ছেন ছবির প্রচার। রয়েছে ফটোশুটও। সব মিলিয়ে বেজায় ব্যস্ত রুক্মিণী মৈত্র। তারই মাঝে সময় বের করে আডডা দিলেন আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে। (  Rukmini maitra)

প্রশ্ন: শুনলাম আপনার নাকি ছােটোবেলায় সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছে ছিল ?
হুম, খুব ইচ্ছে ছিল। একবার ভেবেও ছিলাম সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে মাসকম নিয়ে জার্নালিজমে স্পেশালাইজড করব। কিন্তু ইংরেজি ভাষার প্রতি টান সেটা আমায় । করতে দিল না। 

প্রশ্ন: তা ইচ্ছে তাে কিডন্যাপ’-এ ফুলফিল হল, বলুন? 
একদম। তবে শুধু সাংবাদিকতা নয়, কিডন্যাপ’ পর্দায় আমার সাজুগুজু করার শখও পূরণ করেছে। মেঘনা চ্যাটার্জিকে মেকআপ লাগানাে হয়েছে। যদিও পরে সেই উইদাউট মেকআপ। কিন্তু এটাই অনেক। আমার প্রথম  তিনটি মুভিতে তাে এইটুকুও জোটেনি। 

প্রশ্ন: রুক্মিণী কি মেকআপ ফ্রিক? এক্কেবারে নয়।
জেনারেলি আমি মেকআপ করিও না। কিন্তু সেজেগুজে পর্দায় আমাকে কেমন লাগে, সেটা দেখতে চাই। আর সেই সঙ্গে আই নিড অ্যা হ্যাপি। ক্যারেক্টর। যেখানে কেউ আমাকে কাঁদতে বলবে না। আসলে আমার সব চরিত্রগুলাে কখনও কঁদছে, কখনও কাউকে মেরে ফেলছে, না হলে নিজে মরে যাচ্ছে! আরে বাবা, আমি খুব হ্যাপি পার্সন। আমাকে কেউ হাসিখুশি একটা চরিত্র দাও। 

প্রশ্ন: টলিউডের অভিনেত্রীদের অভিনীত এমন কোনও চরিত্র, যেটা আপনি করতে চান ? 
‘হবু চন্দ রাজার গবু চন্দ মন্ত্রী’ সিনেমায় রানীর চরিত্রটা, যেটা অর্পিতাদি করেছেন। আমি রােজ অনিকেতদাকে ফোন করে বলতাম, প্লিজ প্লিজ, আমাকে নাও না গাে। উল্টো দিক থেকে জবাব আসত, ‘ফোন রাখ, না হলে ব্লক করে দেব। প্রশ্নধরুক্মিণীকে ব্লক করে দেবে! আরে না, আসলে অনিকেতদা তাে জানত, সারা সিনেমা জুড়ে রানীর মতাে সেজে থাকার জন্য চরিত্রটা করতে চাইছি। আমি তাে ফোন করেই বলতাম, আমাকে নাও, আমি মেকআপ লাগাব। তাে, কী আর বলবে বলুন! 

Dev-Rukmini

প্রশ্ন: আচ্ছা, অভিনয়টা যখন পাকাপাকিভাবে করছেন, তখন কখনও মনে হয় না দেব। হয়ে ওপেনিংটা শাহরুখ খানের বিপরীতে করলেই ভালাে হত? 
অ্যাক্টিং আমি করব না, এটাই ঠিক করে রেখেছিলাম। তা ছাড়া রব নে বনা দি জোরি’র অফারটা যখন পেয়েছিলাম, আই ওয়াজ অনলি ফিফটিন। তাই সে সময় পড়াশােনা করা আমার প্রায়ােরিটি ছিল। অভিনেত্রী হওয়ার প্ল্যান কোনও দিন ছিল। তাই আপশােস হয় না। তবে এখন ভালাে স্ক্রিপ্ট পেলে যে কোনও ইন্ডাস্ট্রিতে আমি কাজ করতে রাজি। 

প্রশ্ন: মুম্বইয়ে হিন্দি ছবির শুটিং করে এলেন। এখানকার তুলনায় কতটা আলাদা ছিল শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা?
বলিউডের সঙ্গে এখানকার ছবির বাজেটের ফারাক রয়েছে ঠিকই, তবে কাজের পদ্ধতি দু’ জায়গাতেই এক। দুটো ইন্ডাস্ট্রির যদি তুলনা করি তা হলে বলব, ওখানে অনেকটা রিল্যাক্সড ভাবে কাজ করেছি। তবে সেটাও নির্ভর করে পরিচালক কে, গল্পটা কী রকম সব কিছুর উপরে। অনেক ডিটেল প্রসেসে ওখানে কাজ হয়। অবশ্য সেটা সম্ভব হয় বাজেট বেশি থাকার জন্য। একটা অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য ২০-৩০ দিন রিহার্স করা হয়। প্রি-প্রোডাকশনে অনেকটা সময় দেওয়া হয়। ওখানে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয় অনেক বেশি, যাতে কেউ চোট না পান। অনেক সময়ে বলা হয়, বাংলার চেয়ে মুম্বইয়ে পেশাদারিত্ব বেশি, আসলে তা নয়। বাজেটের জন্য ওখানে এতটা নিখুঁত ভাবে কাজ করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন: ‘সনক’ অ্যাকশন থ্রিলার, এমন ধরনের ছবিতে নায়িকার গুরুত্ব কতটা?
উ: ছবিতে আমাকে বেশ কয়েকটা লুকে দেখা যাবে। গ্ল্যাম সাইড দেখানোর যেমন সুযোগ আছে, আবার পারফরম্যান্স দেখানোরও জায়গা রয়েছে। সেটা না থাকলে ছবিটা করতে রাজি হতাম না।

প্রশ্ন: সমালোচকদের মুখ বন্ধ। একের পর এক ছবি করছেন দেব ছাড়াই। এই বাছাই সচেতন ভাবেই?
রুক্মিণী: সমালোচনা তো অভিনেতাদের জীবনের একটা অঙ্গ! অন্তত আমি তাই মনে করি। আমার পরিশ্রম আর আমার চরিত্র এই ২টো নিয়ে তো বিতর্ক নেই। তাই হয়ত আমি দেবের সঙ্গে পরপর ৫টি ছবি করেছি এটাই সমালোচনার বিষয়! (হাসি)। আমি যদিও পাত্তা দিই না। আমি অভিনয়ে আসব, দেবের বিপরীতে অভিনয় করব, কোনওটাই ঠিক ছিল না। আমরাও কাউকে বলিনি, আমাদের নিয়ে ছবি করা হোক। পরিচালকদের মনে হয়েছে। তাঁরা নিয়েছেন। আবির চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যুৎ জামালের বিপরীতে সুযোগ পাওয়াটাও মনে করি সময়ের ব্যাপার। যা হচ্ছে, সময় আমায় দিয়ে করাচ্ছে। আগামী দিনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জিতের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও করব। ‘কিশমিশ’-এ আবার দেবের বিপরীতে। কী বলবেন বলুন? তবে আমি নিজেও দেব ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে নিজেকে দেখতে চাইতাম।

প্রশ্ন: মুভি নাকি মডেলিং— কোনটা বেটার?
মডেলিং আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তাে আমার ফাস্ট লাভ অলওয়েজ মডেলিং। কিন্তু বিয়েটা অ্যাক্টিংয়ের সঙ্গে হয়ে গিয়েছে। 

প্রশ্ন: মডেলিং ফিমেল ডমিনেটিং, কিন্তু অ্যাক্টিং মেল ডমিনেটিং। অসুবিধা হয় না? 
হয়, ভীষণভাবে হয়। এখানে নায়িকা আসবে দু’ঘন্টা আগে, যাবেও পরে। এদিকে পনেরাে মিনিট আগে আসবে নায়ক, আবার শট দিয়ে তাড়াতাড়ি চলেও যাবে। অথচ পারিশ্রমিক পাবে অনেক বেশি। খারাপ তাে লাগবেই। 

প্রশ্ন: এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। লক ডাউন কী ভাবে কাটালেন?
উ: প্রচুর বই পড়ে, দাবা খেলে। এর আগে মা শুধু আমাকে এয়ারপোর্টে ছাড়তে আর আনতে যেত, আর বাড়িতে থাকলে ঘুমোতে দেখত! লকডাউনে মায়ের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পেরেছি।

প্র: আর দেবের সঙ্গে?
উ: (হাসি) আপনি কী করে জানলেন! এ সব নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। আমার মা-ও তো কাগজ পড়ে! জোকস অ্যাপার্ট, ভাল সময় কাটিয়েছি দু’জনে। প্রথম দিকে দেখা করতাম না। আমার জন্মদিনে প্রথম বেরিয়েছিলাম। 

<

p style=”text-align: justify;”>প্রশ্ন: তা বিয়েটা কবে করছেন? 
এখনও অনেক অনেক কিছু করার আছে। আগে সেগুলাে করব, তার পর বিয়ে। আপাতত মন দিয়ে অভিনয়…