Kazi Nazrul Islam: এ আর রহমান সুরারোপিত ‘বিকৃত নজরুলগীতি’ সামাজিক মাধ্যমে বন্ধ করার নোটিশ

টানা একসপ্তাহ ধরে চলছে বিতর্ক। অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’-র বিকৃত গানটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সরাতে আইনি নোটিশ দেওয়া হল। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব…

টানা একসপ্তাহ ধরে চলছে বিতর্ক। অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’-র বিকৃত গানটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সরাতে আইনি নোটিশ দেওয়া হল। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে সরকারকে নোটিশ দিয়েছে ১০ আইনজীবী ও একটি প্রতিষ্ঠান ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এবং এক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ডাক ও ই-মেইলযোগে এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ–কপাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন। এই গান কবি নজরুলের নিজের সুরারোপিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সব বিপ্লব–বিদ্রোহ তথা আন্দোলন–সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে ‘কারার ঐ লৌহ–কপাট’।

তাছাড়া নোটিশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, একই গান একটি কাজী নজরুলের সুরে ও আরেকটি বিকৃত সুরে থাকলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে। নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গানটি অপসারণ করা না হলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে নির্দেশনা চাওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আটকের প্রতিবাদে কাজী নজরুল ইসলাম ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটি লেখেন। সেটি ‘ভাঙার গান’ বইয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ সালের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার তা নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি ফের প্রকাশিত হয়। ১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ড এবং ১৯৫০ সালে এইচএমভিতে গিরিন চক্রবর্তীর কণ্ঠে গানটি বাণীবদ্ধ হয়।

১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমায় গিরিন চক্রবর্তী এবং তাঁর সহশিল্পীদের নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন সংগীত পরিচালক কালীপদ সেন। এরপর ১৯৬৯-৭০ সালে জহির রায়হান তাঁর কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায়ও গানটি ব্যবহার করেন।