ব্যাকফুটে আফগান সরকার, ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হল তালিবানদের

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান, ভারতের উত্তর-পশ্চিমের একটি দেশ। অন্যান্য দেশের মতো শুধুমাত্র অর্থনীতি বা বৈদেশিক সম্পর্ক নয়, তাদের প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ শক্তির সঙ্গেও। যার নাম…

Taliban

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান, ভারতের উত্তর-পশ্চিমের একটি দেশ। অন্যান্য দেশের মতো শুধুমাত্র অর্থনীতি বা বৈদেশিক সম্পর্ক নয়, তাদের প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ শক্তির সঙ্গেও। যার নাম তালিবান। গত কয়েকদিনে সন্ত্রাসের শিকার আফগানিস্তানের নানান প্রান্ত। কোথাও গুলিবর্ষণ তো কোথাও বোমাবাজি। ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে তালিবানদের আক্রমণ এবং তার সঙ্গে আতঙ্ক। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আগ্রাসন দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী।

আরও পড়ুন Afghanistan Situations: কম বয়সী মেয়েদের তুলে নিয়ে যৌনদাসী বানাচ্ছে তালিবান জঙ্গিরা

   

ইতিমধ্যেই তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশ। রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরেই এখন তালিবানের ঘাঁটি। এই নিয়ে মোট ১০ টি প্রদেশে চলে গেল তালিবানি দখলে। এরপরই আফগান সরকারের তরফে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা সত্ত্বেও তালিবানদের কাছে আফগান বাহিনীর পরাস্ত হওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের প্রায় ৪০০-র মধ্যে ২০০টি জেলায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছে তালিবানরা।

আমেরিকার সামরিক কার্যালয় পেন্টাগনের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনমাসের মধ্যেই কাবুল দখল করে ফেলবে তালিবানরা। তারপরেই পিছু হঠতে শুরু করেছে আসরাফ ঘানির সরকার। কাতারের মাধ্যমে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তালিবানকে। গজনি দখল হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান সরকার। কারণ, রাজধানী কাবুল থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর কান্দাহারে যাওয়ার পথে যে হাইওয়ে রয়েছে তার কাছেই অবস্থিত এই গজনি। সেখানকার সমস্ত সরকারি দফতরের হেডকোয়ার্টারে দখলদারি নিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা।

আরও পড়ুন আফগানিস্তানে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে তালিবানরাজ

উত্তরের শেবার্গান এবং কুন্দুজ, দক্ষিণে কান্দাহার এবং লস্করগাহ এবং পশ্চিমে হেরাত প্রভৃতি শহরে ক্রমশই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে তারা। যার ফলে হাজার হাজার সাধারণ নিরীহ মানুষ আটকে পড়েছে। অন্যদিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার প্রক্রিয়াও প্রায় ৯৫% সম্পূর্ণ। ফলে আরও চিন্তায় দেশের সাধারণ মানুষ। শেবারগানের এক বাসিন্দা বলেন, শহরের পরিস্থিতি খুবই ভীতিকর। আসলে যে কী হতে চলেছে সেই বিষয়ে আতঙ্কে সকলেই। তালিবান যোদ্ধারা দেশের বেশিরভাগ স্থানেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেই কারণে রাজধানী-সহ আশেপাশের অনেক জায়গা এখন সন্ত্রাসে ত্রস্ত। বিগত কয়েকদিনে আফগানিস্তানের ৩৪টির প্রদেশের মধ্যে ন’টি প্রদেশের রাজধানী দখল করে ফেলেছে তালিবান।

অন্যদিকে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন জারি হলে এক টাকাও আর্থিক সাহায্য করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে জার্মানি। প্রত্যেক বছর চার কোটি ৩০ লক্ষ ইউরো আর্থিক সাহায্য আফগানিস্থানে পাঠায় জার্মানি। জার্মানির বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, যদি আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান তাহলে সাহায্য বন্ধ করবে জার্মানি।