রাষ্ট্রসংঘে তালিবান সরকারের স্বীকৃতি চাইলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

নিউজ ডেস্ক: আনন্দে আত্মহারা আফগান শাসক তালিবান জঙ্গি নেতারা। কে নেই এই আনন্দযজ্ঞে। একের পর এক মোস্ট ওয়ান্টেড তালিবানি ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতারা উল্লসিত। যেন…

Imran Khan

নিউজ ডেস্ক: আনন্দে আত্মহারা আফগান শাসক তালিবান জঙ্গি নেতারা। কে নেই এই আনন্দযজ্ঞে। একের পর এক মোস্ট ওয়ান্টেড তালিবানি ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতারা উল্লসিত। যেন আনন্দাশ্রু আর থামতে চাইছে না এমন অবস্থা।

কারণ, রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে গিয়ে খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চাইলেন আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের প্রতি সমর্থন। বিশ্বে প্রথম কোনও সরকারের তরফে রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশন কক্ষে তালিবানের পক্ষে আওয়াজ তোলা হয়েছে। যদিও পাক সরকার এখনও তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি।

ইমরান খান বলেন,আফগানিস্তানের জনগণের স্বার্থে তালিবানকে স্বীকৃতি দিক আন্তর্জাতিক মহল। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের জনগণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের সামনে এখন একটাই পথ আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করা।

আফগানিস্তানের সঙ্কটের কথা তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, আমরা যদি আফগানিস্তানকে অবহেলা করি, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আফগানিস্তানের অর্ধেক মানুষ এখন সঙ্কটে আছেন। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে ওই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাবেন।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট য আশরাফ ঘানির সরকারকে হটিয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বার সরকার গড়েছে তালিবান জঙ্গিরা। মার্কিন সেনা নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতেই জঙ্গি সংগঠনটি কাবুল দখল করে নেয়। তাদের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নারীর অধিকার খর্ব করার অভিযোগে বিশ্বের অধিকাংশ তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। ফলে বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্যের পথ।

এদিকে রাষ্ট্রসংঘে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে মরিয়া তালিবান। তাদের নির্বাচিত দূতকে যদিও স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। তবে জানানো হয় বিষয়টি বিবেচনাধীন। যতদিন না পাকা সিদ্ধান্ত হবে ততদিন অপসারিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নিযুক্ত দূতকেই মান্যতা দেবে রাষ্ট্রসংঘ।