উত্তমকুমারের নাটকে কীভাবে এলেন সাবিত্রী? ফাঁস করলেন রহস্য

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাট্য জগতে হাতেখড়ি হয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের (Sabitri Chatterjee)। পড়াশুনোর সঙ্গে সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিলেন নাটকে অভিনয়ও। সাবিত্রীদেবী একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন…

Uttam Kumar and Sabitri Chatterjee

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাট্য জগতে হাতেখড়ি হয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের (Sabitri Chatterjee)। পড়াশুনোর সঙ্গে সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিলেন নাটকে অভিনয়ও। সাবিত্রীদেবী একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে থিয়েটারে অভিনয় করা কালীন তাঁর আলাপ হয় কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তমকুমারের (Uttam Kumar) সঙ্গে। সাবিত্রীদেবীর কথায় উত্তম কুমারের নাটকে এমন এক অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল যিনি বাঙাল ভাষায় পোক্ত ছিল। তাই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর নাটকের অন্তর্গত করতে সাবিত্রীর বাড়ি যান উত্তম কুমার।

সাবিত্রীদেবী (Sabitri Chatterjee) একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে তিনি নিজেই উত্তমকুমারকে (Uttam Kumar) নিয়ে যান তাদের বাড়িতে। সাবিত্রীদেবীর শর্ত ছিল তাঁর বাবার অনুমতি নিয়েই তিনি উত্তম কুমারের নাটকে অভিনয় করবেন। তখন ভাড়া বাড়িতে থাকতে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার। এতো বড় অভিনেতাকে কোথায় বসতে দেবেন বুঝতে পারছিলেন না সাবিত্রীদেবী।

   

এরপর এসে পড়েন তাঁর বাবা। তিনি শর্ত দেন যে সাবিত্রীদেবীকে (Sabitri Chatterjee) উত্তমকুমারের (Uttam Kumar) নাটকে অভিনয়ের অনুমতি তিনি দেবেন দেবেন যদি উত্তমবাবু সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে যান এবং ফিরিয়েও দিয়ে যান। এই শর্তে সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যান উত্তমবাবু। এরপর হঠাৎই উত্তমকুমারের কাছ থেকে সাবিত্রীদেবীর অভিনয়ের জন্য অ্যাডভান্স চান সাবিত্রীদেবীর বাবা। এতে লজ্জায় লাল হয়ে যান সাবিত্রী দেবী।

Hardik Natasa: জল্পনার অবসান, চার বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের ঘোষণা হার্দিক-নাতাশার!

অপুর সংসার নামক একটি শোতে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “‘বাড়িতে উত্তমকুমার এসেছেন, কোথায় বসতে দেব তাই ঠিক করতে পারছি না আর বাবা তাঁর কাছে অ্যাডভান্স টাকা চেয়ে বসলেন। উনি তো (উত্তমকুমার) পকেট হাতড়ে যা পারেন তাই দিয়ে গেলেন। কিন্তু আমি তারপরে বাবার সঙ্গে অনেকদিন কথা বলিনি। বাবা অবশ্য বলেছিলেন, সংসার চলে না… আবার লজ্জা।” সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, অভাবে দিনে কাটতো তাঁদের পরিবারের। ফলে উত্তমকুমারের কাছে পারিশ্রমিক চাইতে দ্বিধা করেননি তাঁর বাবা।