‘শংকর দা শংকর দা…’ টাকার চোরাবালিতে ডুবতে থাকা নায়ক সাহায্য পায়নি, এখনও পায় না

নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। বিমর্ষ মন্ত্রীর বিরাট মু়খটা যেন গ্যাস বেরিয়ে যাওয়া বেলুন। চুপসে গেছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে মেদবহুল মানুষটির বিধ্বস্ত…

নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। বিমর্ষ মন্ত্রীর বিরাট মু়খটা যেন গ্যাস বেরিয়ে যাওয়া বেলুন। চুপসে গেছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে মেদবহুল মানুষটির বিধ্বস্ত চেহারা ঝুলে পড়ছে। ঘর থেকে আদালতের লক আপ হয়ে অসুস্থ ‘রাজনৈতিক নায়ক’ এখন এক শংকর দা কে খুঁজছেন। সেই হাতটা পাচ্ছেন না। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নায়ক’ আজও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। হয়ত অজান্তে মনে পড়ছে সেই দৃশ্য- টাকার চোরাবালিতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুকুপে ডুবে যাওয়া।

বাংলার চিরন্তন নায়ক-মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রয়াণ দিবস ২৪ জুলাই। ১৯৮০ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁর অভিনীত বিতর্কিত ও তীব্র আলোচিত নায়ক ছবির পরিচালক সত্যজিৎ রায় যে বিপদ সংকেতটি দিয়ে গেছেন তা সর্বকালীন প্রাসঙ্গিক।

ছবির বিষয় বেকার যুবক অরিন্দমের অভিনেতা হওয়ার তীব্র ইচ্ছা ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন পরিচিতদের নিয়ে সামাজিক আর্থিক প্রেক্ষাপট। ষাটের দশকে বঙ্গজীবনের রাজনৈতিক ঝঞ্ঝার মুহূর্ত। নিজের আইডল শংকর দা’র সঙ্গে অবস্থান বিরোধিতা, সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোজগার ও লোভের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে পতন!

সেই পতন কত ভয়াবহ হতে পারে তারই একটি মুহূর্ত টাকার চোরাবালিতে তলিয়ে যাওয়া ‘নায়ক’ যখন হাত বাড়িয়ে সাহায্য চায় তখন সেই সাহায্যের হাত ধরার উপায় নেই। ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় সে। নিশ্চিত দমবন্ধ করা মৃত্যু। শুধু মৃত্যু মুহূর্তে রাশি রাশি টাকা তার শেষ নিশ্বাসের পথে খড়মড় করে উড়ে বেড়ায়। নায়ক অরিন্দম ঢুকে যায় চোরাবালির গভীরে।

মিল পাচ্ছেন তো। স্বাভাবিক। লাখো বেকারের জীবন ও রোজগার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা লোকও যে চোরাবালিতে ডুবছে।