তাঁর আট বছরের ছোট্ট মেয়ের সঙ্গেও ভাব জমে উঠেছিল শিল্পীর, জানালেন লতাজির চিকিৎসক

রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে থেমেছিল ২৮ দিনের লড়াই। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর ২৮ দিন এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর…

রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে থেমেছিল ২৮ দিনের লড়াই। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর ২৮ দিন এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর জীবনের শেষ কয়েকটা দিন তার ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেই চিকিৎসকরা এদিন জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা।

ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডক্টর প্রতীত সমদানির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিল্পী।

এদিন এই চিকিৎসক বলেছেন, সুর সম্রাজ্ঞীর জীবনের শেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করছেন। তাঁর জীবনের চরম প্রাপ্তি এটাই। একই সঙ্গে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তেও মৃদু হাসি লেগেছিল লতাজির মুখে। এই হাসি তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না।

প্রায় একটা মাস হাসপাতালের বিছানায় খুব কাছ থেকে শিল্পীকে দেখেছিলেন প্রতীত। এদিন তিনি বলেন, এত বড় মাপের একটা মানুষ ছিলেন অথচ এত সহজ-সরল এটা তিনি ভাবতেই পারছেন না। যে কদিন তিনি কথা বলেছেন সবসময়ই সকলের সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার করেছেন। হেসে কথা বলেছেন। মুখে হাসি যেন লেগেই ছিল। হাসপাতালে যখন তিনি ভর্তি হন তখনই তিনি সকলকে বলেছিলেন, তাঁর মত বাকি সকল রোগীকে যেন সমান গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। কারও চিকিৎসায় যেন কোনওরকম ত্রুটি না থাকে।

প্রতীত আরও জানিয়েছেন, ২৮ দিনের এই স্বল্প সময়ে তাঁর আট বছরের ছোট্ট মেয়ের সঙ্গেও শিল্পীর ভাব জমে উঠেছিল। তাঁর অনুরোধেই একবার হলেও মেয়ের সঙ্গে সামনা-সামনি দেখা করেছিলেন লতাজি। কয়েকদিন ভিডিও কলেও তাঁর মেয়ের সঙ্গে শিল্পী কথা বলেছিলেন। শিল্পীর প্রয়াণে তাঁর মেয়েও ভেঙে পড়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সন্ধ্যায় শিবাজী পার্কে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।