তালিবান-সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স আঁতাত, সরগরম বিশ্ব রাজনীতি

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট ঘানি। তারপরেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনর পদত্যাগ দাবি করলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।…

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট ঘানি। তারপরেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনর পদত্যাগ দাবি করলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনই দোহায় শান্তিচুক্তির নামে একপ্রকার ‘শর্তসাপেক্ষে’ তালিবানদের আফগানিস্তান দখলে শীলমোহর দিয়েছিল ওয়াশিংটন। তারপর থেকেই আফগানিস্তানের অবস্থার জন্য পরোক্ষে আমেরিকাকেই দায়ী করেছে বিশ্বের অনেক দেশ। ঠিক সেই সময়েই কাবুলে তালিবান নেতাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রধান। এবার সে খবরেই তোলপাড় বিশ্ব রাজনীতি।

আরও পড়ুন তালিবান উৎখাতে আফগান নাগরিকদের ভরসা ‘রিয়েল হিরো’ আমরুল্লাহ সালেহ

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবানের অন্যতম শীর্ষনেতা আবদুল ঘানি বরাদরের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন সিআইএ (Central Intelligence Agency) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। কাবুল বিমানবন্দর এখনও আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। আর সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন G-7 Summit: তালিবানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে বিশ্বের সুপার পাওয়ার’ দেশ

সমস্ত লোককে উদ্ধার না করা গেলে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে আমেরিকা সেনা না সরালে লড়াইয়ের ঈঙ্গিত দিয়েছে তালিবানরাও। এই অবস্থায় সিআইএ প্রধানের সঙ্গে তালিবানের বৈঠক যথেষ্ট ঈঙ্গিতপূর্ন বলে মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন তালিবানদের জয়ে আনন্দে আত্মহারা পাকিস্তান, হুমকির মুখে ভারত-আমেরিকা

যদিও সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, এজেন্সির চিফের বিষয়ে বিশদে কিছু জানানো যায় না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়েই বৈঠক করেছেন ওই দুই শীর্ষ নেতা। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও প্রায় ২১৬০০ জনকে কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।