Jacqueline Fernandez: ইডির দ্বিতীয় সমনও এড়িয়ে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির সমন এড়িয়ে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। ২০০ কোটি টাকার একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় জড়িত…

Bollywood actress Jacqueline Fernandez

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির সমন এড়িয়ে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। ২০০ কোটি টাকার একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় জড়িত সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে এক ব্যক্তি। এই বলিউড অভিনেত্রীও সুকেশের প্রতারণার শিকার বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার ইডির দফতরে হাজির হওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল জ্যাকলিনকে। কিন্তু অভিনেত্রী এদিন সেই সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। তাই আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার তাঁকে হাজির হওয়ার কথা জানিয়েছে ইডি।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার এই মামলায় অগাস্ট মাসে এক দফা জ্যাকলিনকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল। এরপর ফের অভিনেত্রীকে ২৫ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু ওই দিন অভিনেত্রী ইডির মুখোমুখি হননি। এরপর তাঁকে ১৫ অক্টোবর ডেকে পাঠিয়ে ছিল ইডি। কিন্তু তিনি দ্বিতীয়বারও সমন এড়িয়ে গেলেন। এজন্য অভিনেত্রীকে শনিবার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

জ্যাকলিন ছাড়াও বলিউডের আর এক অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিকেও একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ইডির অফিসে হাজির হয়েছিলেন নোরা। বৃহস্পতিবার ইডির তদন্তকারীরা নোরাকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেন। নোরার সমস্ত বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

নোরা এবং জ্যাকলিন এই দুই অভিনেত্রীই চন্দ্রশেখরের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। ওই এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক প্রতারণার এই মামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় ইডি। সুকেশের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা, প্রতারণা, মুক্তিপণ আদায়, তেলাবাজি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় জ্যাকলিন ছাড়াও যোগ রয়েছে নোরার। অভিযোগ, সুকেশ জ্যাকলিন এবং নোরাকেও আর্থিক প্রতারণার এই মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল এই কারণে অভিনেত্রীকে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত সুকেশ সম্পর্কেই তাঁকে নানা প্রশ্ন করা হয়েছিল। জ্যাকলিন ও নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানার চেষ্টা করছে যে, তাঁদের সঙ্গে সুকেশের কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা।

উল্লেখ্য, সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে ওই ব্যক্তি জেলে বসেও এক ব্যবসায়ী স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে ছিল। আর্থিক প্রতারণার এই মামলায় সুকেশের স্ত্রীর লীনা মারিয়া পলের নামও জড়িয়েছে। আর্থিক প্রতারণার মামলায় এখনও পর্যন্ত সুকেশ এবং তার স্ত্রী ছাড়াও আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং তার স্ত্রী লিনা পল আপাতত দিল্লির রোহিনী জেলে বন্দি আছে। দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করেছিল, জেল থেকেই সুকেশ তোলাবাজি চালিয়ে গিয়েছে। তার শিকার হয়েছে বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে একাধিক ব্যবসায়ী। সুকেশকে এই কাজে সব ধরনের সাহায্য করেছে তার স্ত্রী লীনা। অগাস্ট মাসে সুকেশের চেন্নাইয়ের বাংলোয় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে এই তদন্তকারী সংস্থা ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৬টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে।