উত্তরে বিজেপির ধস নামছে, চিন্তা বাড়ছে দিলীপ-শুভেন্দুর

নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবাদিক সংকট তৈরি হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই। তৃণমূল যেমন চিন্তায় তেমনি প্রধান বিরোধী দলের চিন্তা দলে ধস নামা নিয়ে।…

Alipurduar, Siliguri, Darjeeling, BJP, TMC

নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবাদিক সংকট তৈরি হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই। তৃণমূল যেমন চিন্তায় তেমনি প্রধান বিরোধী দলের চিন্তা দলে ধস নামা নিয়ে। যে জোয়ার ভোটের আগে ছিল তাতে এখন ভাটার টান। বিজেপির অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার। সেখানেই হুড়মুড়িয়ে ধস নামছে।

জেলার কালচিনিতে বিজেপি ছাড়লেন ৫০০ জন। তারা যোগ দিলেন তৃণমূল শিবিরে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি নির্বাচনে সরকার গড়তে না পারলেও প্রধান বিরোধী দল হয়েছে। রোজই দলে আসছেন বহু কর্মী।

   

আলিপুরদুয়ারের বিজেপির পাকা অবস্থান বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই জেলাতেই বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা নেপাল বর্মণ ও দলের তফসিলি উপজাতি মোর্চার জেলা সহ সভাপতি রশ্মি বাগোয়ার সহ প্রায় ৫০০ অনুগামী তৃণমুল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কালচিনির চুয়াপাড়া, ভূতরি, রাঙামাটি ও সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা থেকে বিজেপির কর্মীরা এদিন দলে দলে গিয়ে তৃণমুল কংগ্রেসে নাম লেখান। বিজেপি নেতা জন বারলার বিরুদ্ধে গোষ্ঠী অসন্তোষ বাড়ছে জেলায়। বিজেপির একাংশের কটাক্ষ, উনি শুধু কথার সাংসদ। প্রতিশ্রুতি দেন।

সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দলেই। কোচবিহারেও বিজেপির বড় শক্তি। সাংসদ নিশীথ প্রামানিক স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী। তিনিও এখন নীরব। আলিপুরদুয়ারের মতো কোচবিহারেও বিজেপি শিবিরে ধস নামবে বলে মনে করছেন উত্তরের বিজেপি নেতারা। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি দেখভাল করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই যুযুধান হেভিওয়েট রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেব।

দার্জিলিং জেলায় চমক দিয়ে সিপিআইএমের হেভিওয়েট নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক কেরিয়ারটাই শেষ করে দিয়েছেন তাঁরই শিষ্য শংকর ঘোষ। গুরুকে হারিয়ে তিনি এখন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। সূত্রের খবর তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসে যাচ্ছেন। তাঁকে টানতে মরিয়া গৌতম দেব।

শিলিগুড়ি গত দুটি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের অধরা। গতবার সিপিআইএম ও এবার বিজেপি জিতেছে। শিলিগুড়িকে কব্জা করতে তৃণমূল মরিয়া। শংকর ঘোষ পক্ষত্যাগ করলেই ষোলকলা পূর্ণ হবে। দার্জিলিং ও কালিম্পং পার্বত্যাঞ্চলে বিজেপির সমর্থন ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ও বিধানসভার ফল পাহাড়ি এলাকায় ভালো নয়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুং শিবির ফের বেশি সক্রিয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ মোর্চা শিবির নিষ্ক্রিয়। জলপাইগুড়ি,উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভিত্তিক শক্তি ধরে রেখে নিজের জমি শক্ত করবে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির ধস শুরু হয়েছে উত্তরে। আলিপুরদুয়ার থেকে ধস গড়িয়ে নামছে নিচের দিকে।