আমাদের জীবনে বেশ কিছু না বলা কথা থাকে,যা কাউকে শেয়ার করা যায়না।সেই না বলা জমে থাকা একরাশ অভিমান মনের মধ্যে স্তূপাকৃত হয়ে থেকে যায়।তাই আর বেড়ে ওঠেনা সময়মত সম্পর্কের বাকরুদ্ধ পরিসর।সেই অব্যক্ত নিঃশব্দে আমরা হারিয়ে ফেলি কত প্রিয়জনকে।আর সেটা যদি বাবা মেয়ের মত সম্পর্ক হয়… তাহলে?এরকম এক কঠিন বাস্তবকে রূপালি পর্দায় তুলে ধরছেন পরিচালক রোহন সেন।১১ই মার্চ বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে অপরাজিতা।এই ছবিটি আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে রীতিমতো আয়না তুলে ধরার একটি হৃদয়স্পর্শী কাহিনী।
অপরাজিতা নামের একটি মেয়ে এবং তার বাবার সম্পর্কের টানাপোড়েনের কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘অপরাজিতা’।একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও বাবা-মেয়ের মধ্যে কথা বন্ধ।যদিও এর জন্য দায়ী তাদের ইগো।শুধুমাত্র একটি ডায়েরির মাধ্যমে তাদের দুজনের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।অপরাজিতা একজন স্বাধীন মহিলা,যে একটি কর্পোরেট কোম্পানিতে কাজ করে।তার একজন বয়ফ্রেন্ড আছে।যার নাম সাহেব।সাহেবের কাছে সে তার রাগ , দুঃখ,অভিমান দেখাতে পারে।অপরাজিতার বড়ো দিদি ইউ এস এ তে থাকেন।সাহেব বা তার দিদি কেউই অপরাজিতার সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ঠিক করতে পারেনা।তাদের পারিবারিক ডাক্তার ও এই প্রজন্মের সামাজিক আর পারস্পরিক দূরত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। গল্প যত এগোয় বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তত জটিল হয়ে উঠতে থাকে।
শেষমেশ এই সম্পর্কের পরিণতি কি হয়,তাই নিয়েই এই ছবি।সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিচালক এই ছবিটির মাধ্যমে রীতিমতো আয়না তুলে ধরতে চেয়েছেন।গল্পটির সঙ্গে অনেকেই হয়তো চারপাশে বা নিজস্ব জীবনের কোনও খণ্ড চিত্র খুঁজে পাবেন।বাবা মেয়ের এই কথা না হওয়া জটিল, তাও মধুর সম্পর্ক কীভাবে একটি ডায়েরীর মাধ্যমে পাতার পর পাতা আবহমান হতে থাকে, সেটাই ভেসে উঠবে বড় পর্দায়।কিছুক্ষণ এন্টারটেইনমেন্ট এর প্রযোজনায় এই ছবিতে অভিনয় করেছেন তুহিনা দাস,শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়,দেবতনু,রানা বসু ঠাকুর,অমৃতা দে সহ অন্যান্যরা।ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবির গল্প, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন রোহন সেন।নিবেদনে রয়েছেন অমৃতা দে।সংগীত পরিচালনা করেছেন কৃষ্ণেন্দু রাজ আচার্য্য।গান গেয়েছেন অনুপম রায় এবং অমৃতা দে।গীতিকার রাজ সেন, কৃষ্ণেন্দু রাজ আচার্য্য এবং রোহন সেন।
