নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) জয়ের সংবাদ এক মুহূর্তে পৌঁছে গেল ত্রিপুরায়। বাংলাভাষী প্রধান এই রাজ্যেও শূন্য হয়ে যাওয়া টিএমসি সমর্থকদের মধ্যে এতটাই উল্লাস যে তারা রসগোল্লা উৎসব শুরু করেছেন।
হাঁড়ি হাঁড়ি রসগোল্লা পথচলতি সবাইকে খাওয়ানোর পালা চলছে। আগরতলায় তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পর ত্রিপুরাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি ও সিপিআইএমকে পরাজিত করে সরকার গড়া হবে।
রসগোল্লা খাওয়ানোর পিছনে জয় ও জনসংযোগ দুটোই চালাচ্ছে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই রাজ্যে লোকসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূলের প্রাপ্তি ০.৩ শতাংশ। এই শক্তি নিয়েই ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা ভোটে ঝাঁপিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর সরকারে থাকা বিজেপির বিধায়করা দলত্যাগে তৈরি। ত্রিপুরায় বিজেপি শিবিরেও ভাঙন স্পষ্ট। সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে মমতার জয় ঘোষণা হতেই ত্রিপুরায় শাসক বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়করা দলত্যাগ শুরু করবেন। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
সুদীপবাবু গত বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যান। সে রাজ্যে বিরোধী দল হয় টিএমসি। পরে তিনিই আবার অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যান। ভোটে সরকার পরিবর্তন হয়। বাম সরকারকে হারিয়ে বিজেপি জোট সরকার গড়ে।
পশ্চিমবঙ্গে তিনবার সরকার গড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে পুনরায় শক্তিশালী করতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে ভাঙন ধরছে। শনিবার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস কলকাতায় টিএমসি ভবনে এসে কথাবার্তা পাকা করেছেন বলেই সূত্রের খবর