সুশান্ত এর ব্যবহৃত ফ্ল্যাট থাকার অভিজ্ঞতা জানালেন আদাহ শর্মা

গতবছর ‘দা কেরালা স্টোরি’ তে অভিনয় করে শিরোনামে আসেন আদাহ শর্মা। ছবির মূল কাহিনী কেরালার ৪ জন মহিলাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত যারা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত…

Adah Sharma

গতবছর ‘দা কেরালা স্টোরি’ তে অভিনয় করে শিরোনামে আসেন আদাহ শর্মা। ছবির মূল কাহিনী কেরালার ৪ জন মহিলাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত যারা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামিক স্টেটে যোগদান করতে বাধ্য হয়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। সমালোচকদের প্রশংসা না পেলেও, বক্স অফিসে বড়সড়ো সাফল্য পায় ছবিটি। এই বছরে মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর আরেক ছবি, ‘বস্তার’, যেটি মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে।

তবে অন্য একটি কারণেও শিরোনামে এসেছেন অভিনেত্রী, তিনি কিনেছেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ব্যবহৃত ফ্ল্যাট। লিজ চুক্তিটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং অভিনেত্রী এই বছরের শুরুতে তার মা এবং দিদার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ওই ফ্ল্যাটেই ১৪ই জুন ২০২০তে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তারপর থেকেই ৩ বছর ধরে খালি পরে ছিল ফ্ল্যাটটি। শোনা যায় বেঁচে থাকা কালীন সুশান্ত প্রায় চার লক্ষ টাকা ভাড়া দিতেন ৩৬০০ বর্গফুটের সমুদ্রমুখী এই ফ্ল্যাটটির জন্য। মন্ট ব্ল্যাঙ্ক নামের আবাসনের ওই ফ্ল্যাটটি প্রচুর টাকা দিয়ে ৫ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন অদা। কিন্তু টাকার অঙ্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

   

অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি চার মাস আগে ফ্ল্যাটে (মন্ট ব্ল্যাঙ্ক আবাসন, বান্দ্রা) চলে এসেছি, কিন্তু চলচ্চিত্র প্রোমোশনের ব্যস্ততার কারণে বেশিক্ষণ থাকা হয়নি। সম্প্রতি যে অবসর আমি পেয়েছি সেই সময় থেকেই এখানে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি সারা জীবন পালি হিলের (বান্দ্রা) একই বাড়িতে থেকেছি এবং এই প্রথম আমি সেখান থেকে অন্য বাড়িতে এসেছি। আমি খুব সংবেদনশীল, এবং এই জায়গাটি আমাকে ইতিবাচক অনুভূতি দেয়। কেরালা এবং মুম্বাইতে আমাদের বাড়িগুলি গাছে ঘেরা এবং আমরা পাখি এবং কাঠবিড়ালিকে খাওয়াতাম। তাই, আমি পাখিদের খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা সহ একটি বাড়ি চেয়েছিলাম।”

তবে ফ্ল্যাটে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন আদাহ। পুরো জায়গাটিকে সাদা রঙ করিয়েছেন তিনি। নীচের তলাকে রূপান্তরিত করেছেন একটি মন্দিরে এবং উপরের তলায় দুটি কক্ষকে একটিতে সংগীত কক্ষ এবং অন্যটিতে একটি নৃত্য স্টুডিও বানিয়েছেন তিনি ৷ তিনি তার আগের বাড়ি থেকে তার সমস্ত গাছপালা এনে ছাদে একটি বাগানও বানিয়েছেন। আদাহ এবং তার মায়ের পুরানো বাড়িতে খুব বেশি আসবাবপত্র ছিল না, তাই এই বাড়িতেও ন্যূনতম আসবাবপত্র রয়েছে। তারা মেঝেতেই ঘুমোন এবং খান বলে জানা যাচ্ছে।