ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকেই শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! ChatGPT-র ভবিষ্যদ্বাণী

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আমেরিকা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর বুদ্ধি সম্ভবত পৃথিবীকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেছিল। কিন্তু কৃত্রিম…

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আমেরিকা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর বুদ্ধি সম্ভবত পৃথিবীকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেছিল। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) জগতে সর্বশক্তিমান বলে বিবেচিত এআই বট ChatGPT একটি ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ChatGPT এমন ৬টি দেশের নাম দিয়েছে যেখান থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।

কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ সেনাপ্রধান জেনারেল স্টাফ প্যাট্রিক স্যান্ডার্স ও ন্যাটোর জেনারেলরা তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তখন সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ‘সাধারণ নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিটি জাতিকে একটি সাধারণ সেনাবাহিনীর মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, কারণ যখন যুদ্ধ শুরু হবে, সম্ভবত রিজার্ভ বাহিনীও যথেষ্ট হবে না। এসব বক্তব্যে কেঁপে ওঠে বিশ্ব। মনে হচ্ছিল হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর পর চ্যাটজিপিটিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাব্য স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, এরপর ৬টি হটস্পট গণনা করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ৬টি স্থান যেকোনো সময় পৃথিবীকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে পারে।

   

জেনে নিন এই ৬টি হটস্পট সম্পর্কে

কোরীয় উপদ্বীপ: উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এতে আমেরিকা জড়িত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে। এটি চীনের মতো বড় শক্তির সাপোর্ট পাচ্ছে। তাই এখান থেকে যে কোনো সময় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্য: মধ্যপ্রাচ্য এমন একটি অঞ্চল যেখানে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত এখনও চরম আকার ধারণ করেছে। এতে ইরান ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে, যেখানে মুখোমুখি অবস্থান করছে আমেরিকা ও রাশিয়া। যেকোনো সময় এটি বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে।

তাইওয়ান : চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা প্রতিনিয়ত নতুন রূপ নিচ্ছে। নতুন সরকার গঠনের পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এদিকে আমেরিকার চোখ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই অঞ্চল যেকোনো সময় বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

পূর্ব ইউরোপ: পূর্ব ইউরোপ রয়েছে চার নম্বরে। রাশিয়া, ইউক্রেন ও ন্যাটোর মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্ব ইউরোপে উত্তেজনা বাড়ছে। এটি যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।

দক্ষিণ চীন সাগর: দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ অব্যাহত রয়েছে। এই বিতর্কে আমেরিকার মতো শক্তি আগুনে ঘি ঢালতে কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় উত্তেজনা চরমে যেতে পারে এবং সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশ্বযুদ্ধও এখান থেকেই শুরু হতে পারে।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত: কয়েক দশক ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে। এর আগে দু’বার যুদ্ধ হয়েছে, কিন্তু অন্য কোনো দেশের ওপর এর প্রভাব পড়েনি। গত চার বছর ধরে সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে। তা সত্ত্বেও এখান থেকেও বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে মনে করছে চ্যাটজিপিটি। কারণ দুই দেশেরই পরমাণু সক্ষমতা রয়েছে।