Air Cooler Cleaning: পুরনো কুলার চালানোর আগে এই কাজটি করুন, নাহলে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে

Air Cooler Cleaning: গ্রীষ্মের আগমনের সাথে সাথে পুরনো শীতল স্মৃতি আবার জেগে উঠেছে। গ্রীষ্মের রোদে থাকা, বিশেষ করে ভারতীয় গরমে, সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের…

How to clean air coolers

Air Cooler Cleaning: গ্রীষ্মের আগমনের সাথে সাথে পুরনো শীতল স্মৃতি আবার জেগে উঠেছে। গ্রীষ্মের রোদে থাকা, বিশেষ করে ভারতীয় গরমে, সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশে সবাই গরম থেকে স্বস্তি পেতে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কিনতে পারে না। তাই বেশিরভাগ বাড়িতেই কুলার (Air Cooler) ব্যবহার করা হয়। এখন যেহেতু গ্রীষ্ম এসেছে, বাজারে কুলারও আসতে শুরু করেছে। লোহার তৈরি পুরনো কুলার হোক বা আধুনিক কুলার, রিস্টার্ট করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

শৈশবে ফিরে গেলে মনে পড়বে বিকালে ঘরে বসে কুলারের কাছে বসলে আরাম হতো। এখন অনেক ধরনের কুলার বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কুলারের যত্ন নেওয়া আগের মতোই জরুরি। আপনিও যদি গ্রীষ্মের মরসুম আসার সাথে সাথে আপনার পুরনো কুলারটি বের করে থাকেন তবে এর পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিন। নিচে দেওয়া নিয়মগুলি না মানলে, আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

কুলার পুনরায় চালু করার আগে এই কাজগুলি সম্পূর্ণ করুন। এটি আপনার ঘরকে শুধু ঠাণ্ডা রাখবে না, রোগ থেকেও মুক্তি দেবে।

Step 1 – পরিষ্কার করা
কুলার পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে এর দীর্ঘায়ুর জন্য একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। অনেক মাস এভাবে রাখলে কুলারের চারপাশে ধুলো জমে। অতএব, প্রথম ধাপ হল এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা। কুলারটি ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করলে এতে জমে থাকা ধুলো-ময়লা দূর হয়ে যায়। এর পরে কুলার ব্যবহার করা নিরাপদ।

Step 2 – প্যাড পরিবর্তন করা
নতুন মরসুমে আপনি কুলার জন্য নতুন প্যাড ব্যবহার করা উচিত। পুরনো প্যাড নোংরা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের দুর্গন্ধেরও আশঙ্কা রয়েছে। অতএব, যখনই আপনি আবার কুলার ব্যবহার করবেন, শুধুমাত্র একটি নতুন প্যাড দিয়ে করবেন। এছাড়াও আপনি ঠান্ডা হাওয়া পাবেন এবং সতেজ বোধ করবেন। এই কারণে কুলারের কর্মক্ষমতাও ভালো থাকে।

Step 3- পেইন্ট
এক জায়গায় রাখলে কুলারের রংও নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনি কুলার পুনরায় রং করতে পারেন। নতুন পেইন্ট শীতল চেহারাকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। পুরনো পেইন্ট নষ্ট হয়ে যায় এবং কুলারটি নোংরা দেখায়, তাই নতুন পেইন্ট করাও কুলারের জীবন বজায় রাখে।

Step 4– মশা ইত্যাদি থেকে সুরক্ষা।
ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রধান কারণ কুলার। কুলারের নোংরা জলে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার লার্ভা বেঁচে থাকলে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাই কুলারে নিয়মিত পরিষ্কার জল ব্যবহার করতে হবে। কুলার পরিষ্কারে মনোযোগ না দিলে মশার কামড়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

এইভাবে আপনি আবার নিরাপদে কুলার ব্যবহার করতে পারেন। গ্রীষ্মের ঋতুতে কুলারের কাছাকাছি সময় কাটানো সুখ এবং আরাম উভয়ই নিয়ে আসে। কুলারের সঠিক যত্ন নিলে আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারেন।