সারাদেশে টমেটোর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি (Food Inflation) নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারও চিন্তিত। তবে জুন-জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে কমেছে টমেটোর দাম (Tomato Price)। এখন অনেক শহরে টমেটো প্রতি কেজি ১০০ টাকার নিচে পৌঁছেছে। দিল্লির অনেক জায়গায় টমেটোও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।
একই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার আজ থেকে তার সমস্ত সরকারি দোকানে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় টমেটো বিক্রি শুরু করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও টমেটোর দাম নিয়ে চিন্তিত মানুষ। যেখানে ফুলকপি, ক্যাপসিকামসহ অনেক সবুজ শাক-সবজি টমেটোর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে তাদের দাম এখনও ১০০ টাকার বেশি।
আসলে বর্ষার আগমনে টমেটোর পাশাপাশি সবুজ শাকসবজির দাম বেড়ে যায়। ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পাওয়া টমেটো হঠাৎ করে ১০০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে জুলাই মাস নাগাদ প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। চণ্ডীগড়ে এক কেজি টমেটোর দাম দাঁড়িয়েছে ৩৫০ টাকা। এরপর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নিজেই টমেটো বিক্রি শুরু করে। এর আগে দিল্লি-এনসিআরে টমেটো প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হত। এরপর ৮০ টাকা এবং পরে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। আজ থেকে সে প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি করছে।
লাউ ও শসাও সস্তা হয়েছে
তবে দেশে বর্ষা দুর্বল হওয়ায় খাদ্যপণ্যের দামও কমছে। ওকড়া, শসা, পরওয়াল, লাউসহ অনেক সবুজ শাক-সবজির দাম জুলাইয়ের তুলনায় সস্তা হয়েছে। ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাউ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। এভাবে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ভেঁচিও সস্তা হয়েছে। এখন ভালো মানের এক কেজি ওকড়া পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। একইভাবে টমেটো তেঁতুলও এখন সস্তা হয়েছে। কিন্তু টমেটোর চেয়ে ক্যাপসিকাম, শিম ও ফুলকপির দাম বেশি।
এই হল ক্যাপসিকাম ও মটরশুটির হার
হিন্দুস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, খুচরা বাজারে টমেটোর গড় দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। একইভাবে প্রতি কেজি ফুলকপির দাম ১৩০ টাকা। যেখানে খুচরা বাজারে এক কেজি শিমের দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তার মানে টমেটোর চেয়ে ক্যাপসিকাম, ফুলকপি ও মটরশুঁটির দাম বেশি।