গরমে প্রতিদিন টক দই খেয়ে আদৌ লাভ হচ্ছে তো?

এই গরমে টক দই খাচ্ছেন প্রতিদিন। আদৌ লাভ হচ্ছে তো? যুগ যুগ ধরে বাঙালির গৃহস্থে ব্যবহার হচ্ছে টক দই। টক দই এক ধরণের প্রাকৃতিক প্রোবাওটিক।…

benefits-of-having-curd

এই গরমে টক দই খাচ্ছেন প্রতিদিন। আদৌ লাভ হচ্ছে তো? যুগ যুগ ধরে বাঙালির গৃহস্থে ব্যবহার হচ্ছে টক দই। টক দই এক ধরণের প্রাকৃতিক প্রোবাওটিক। অনেকেই এক বাটি দই প্রতিদিন খান পেটের সমস্যা দূর করতে। এই তীব্র গরমে নিয়মিত খান টক দই। দইয়ের গুণ অনেক, তাই এটিকে একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা।

দইয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা –

১। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোবাওটিক পাওয়া যায়। এর ফলে হজম করতে সাহায্য করে। দইয়ের ফলে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হয়।

২। দই যে শুধু ভালো খেতে তা নয়, এর মধ্যে রয়েছে অনেক পরিপোষক পদার্থ। দইয়ে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল এবং ভিটামিন।

৩। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, টিপটোফ্যান, ভিটামিন বি৫, বি১২, ম্যাগনিসিউম এবং ফলিক অ্যাসিড। এর ফলে দূর হতে পারে ঘুমের সমস্যা।

৪। গরমকালে দইয়ের কোন বিকল্প হয়না। গরমে তাপমাত্রা বাড়লে ঘরোয়ে টক দই বা দই দিয়ে বানানো লস্যি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

৫। দইয়ে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। উজ্জ্বল ত্বক পেতে গেলে প্রয়োজন নিয়মিত টক দই।

রাজ্যে প্রতিদিনই রেকর্ড পার করছে তাপমাত্রা। শুধু সকাল নয়, একই সাথে বিকেলে পরেও রাস্তায় বেরোনো দুর্ব্যসহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে। তবে এই গরমে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হলেও শরীর থেকে বিন্দুমাত্র ঘাম বের হচ্ছে না যা ভাবে তুলছে চিকিৎসকদের। শরীর থেকে ঘাম বের হলে তবেই শরীরের উপরিভাগ ঠান্ডা থাকে ফলে গরম জনিত বিভিন্ন সমস্যা তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। তবে চলতি মরশুমের গরম একেবারেই ভিন্ন, তাই এই গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।