শুক্রবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক (TMC party meeting) সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ এরপরেই রাজ্যের (West Bengal) ৮০ টি ডাব্লুবিসিএস অফিসারদের বদলি করা হয়েছে৷ সাংগঠনিক বৈঠকের পরেই এই বদল ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নবান্নের তরফে এই বদল রুটিনমাফিক বলা হলেও একাধিক বদল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার দিব্যেন্দু মজুমদার, এতদিন মুর্শিদাবাদের ডেপুটি ডিএল অ্যান্ড এলআরও পদে ছিলেন৷ এখন থেকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারির দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে।
এছাড়াও বদল করা হয়েছে সাগরদিঘির বিডিও সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেও।সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় আনা হয়েছে দার্জিলিংয়ের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টরেট সঞ্জয় শিকদারকে। সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নদিয়ার কল্যাণীর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ওএসডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণ চন্দ্র মুণ্ডাকে বদলি করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। তাঁর জায়গায় আসছেন চন্দননগর সাবডিভিশনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টরেট সুজিত চন্দ্র লোধ। এছাড়াও বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারকেও।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বদল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, সাগরদিঘিতে হেরে গিয়ে ভোলা পাণ্ডেকে ক্লোজ করলেন। আজ ৮০ জন বিডিওর বদলির অর্ডার দেখবেন, তাতে এক নম্বরেই রয়েছে সাগরদিঘির নাম। কারণ ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেছেন। একইসঙ্গে সদ্য জয়লাভ করে সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস বলেন, প্রশাসনিক বদল নিয়ে কিছু বলতে চান না। তবে যদি রাজনৈতিক কারণে বদল করা হয়, তা অত্যন্ত খারাপ।