গোরু পাচার তদন্তে সিবিআই হেফাজতে থাকা বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মাথার ওপর কালো মেঘ গাঢ় হচ্ছে। সেটা স্পষ্ট হয়েছে দুই ব্যবসায়ীদের অনুব্রতর কর্মকাণ্ড ফাঁসে৷ কখনও তারা বলছেন টেণ্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়েছিলেন ১০ কোটি টাকা৷ বীরভূম জেলার সমস্ত ঠিকাদারদের ১২ শতাংশ করে অনুব্রত ট্যাক্স (Black Money) দিতে হত৷ এই পর্দাফাঁসের মধ্যেই বীরভূমে যেন অন্য হাওয়া৷
এই দুই ব্যবসায়ীর মুখ খোলার পরেই অনেক সরব হতে চাইছেন বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, এতদিন চাপের মুখে জীবনের ভয়ে যারা মুখ খুলতে পারতেন না। তাঁরা এবার মুখ খুলবেন বলে ঠিক করেছেন৷ ফলত, আগামী দিনে অনুব্রতর বিরাট চাপ বাড়তে চলেছে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
এমনিতেই বৃহস্পতিবার বোলপুরে সিবিআই অভিযানে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক গাড়ির রহস্যভেদ করতে গিয়েই উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য৷ অরূপ মণ্ডল ও অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, জেলায় টেন্ডার একমাত্র পাশ করাতেন অনুব্রত৷ কিংপিনের মতো আচরণ করতেন তিনি। বালি পাচার, পাথর পাচার, কয়লা পাচারদের ভাগ পেতেন অনুব্রত৷ যা সবটা পরিচালনা করতেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন৷
এমনকি অভিযোগ, একেবারে টাকা দিতে না পারায় টেন্ডার মেলেনি। ফলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। যারা টাকার অংশ দিত তাঁরাই পেত কাজের বরাত৷ পুলিশের কাছে গেলে কোনও লাভ হত না। তবে সিবিআই ডাকলে সমস্ত তথ্য দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷
এমনিতেই গোরু পাচার মামলায় বীরভূমের একাধিক প্রভাবশালী নেতাদের নাম জড়িয়েছে। অনুব্রত ও সায়গলের পর আর কারা সিবিআইয়ের হেফাজতে যাবেন? তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ তালিকা। এরই মধ্যে চাপে অনুব্রত সহ তৃণমূলের নেতারা৷ আর কেউ যাতে না পর্দা ফাঁস করে ফেলে। ভয়ে সিঁটিয়ে তৃণমূলের নেতারা।