পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর প্রবল চাপে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ, দলেরই সমালোচনায় সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে নীচু তলার কর্মীরা৷ কর্মীদের বক্তব্য, সারা দিন কাজকর্ম ফেলে দলের নির্দেশ মনে প্রত্যেক মিটিং মিছিলে দৌড়ান তাঁরা। অথচ নেতারা পকেট ভরে বড় বড় কথা বলেন। তবে কী উত্তরবঙ্গে ফের তৃণমূলে ভাঙন ধরতে চলেছে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে৷
সেই ক্ষোভে ফুঁসছে শিলিগুড়িও। কাউন্সিলরদের কাছেই ক্ষোভ উগরে দেন কর্মীরা৷ অনেকেই বলছেন কি লাভ?এক তৃণমূল সমর্থক জানিয়েছেন গতকালের ঘটনার পরে চায়ের দোকানে,পাড়ায় মুদির দোকানে এবং বাজারে বেশীক্ষন থাকা যাচ্ছে না।সব জায়গাতেই একই কথা।অনেকেই বলছেন এই তো সবে শুরু এর পরে প্রাথমিক সহ অন্যান্য নিয়োগ মামলা সিবিআই দেখছে৷
সূত্রের খবর, কোচবিহারের এক বর্ষীয়ান নেতার ওপর নজর রাখছে ইডি৷ নজরে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক নেতারা৷ অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। অথচ অনেককেই চাকরি দেয়নি। ফেরত দেয়নি টাকাও৷ সেই নেতাদের বাড়িতে উপস্থিত হচ্ছে চাকরি প্রার্থীরা৷
এরই মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর দলের তরফে সাফ বার্তা, এই ঘটনার দায় দল নেবে না। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে। তাই দলের ওপর ধীরে ধীরে অনীহা দেখাতে শুরু করেছেন নীচু তলার কর্মীরাই।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে বাজিমাত করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ধীরে ধীরে মানুষের আস্থা অর্জন করেছিল তৃণমূল৷ পরে পুরসভার ভোট এবং উপনির্বাচনেও চমকপ্রদ ফল পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে সেটা ধরে রাখাই ছিল দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তৃণমূল মহাসচিবের গ্রেফতারে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন দলের নেতারাই। আগামী নির্বাচনের আগে বড় বিপদের মুখে তৃণমূল।