Jalpaiguri: তিস্তার রেল সেতু ক্যাম্প অফিসে বুনো হাতির হামলা

তিস্তায় হাতির পাল। হাতি তাড়াতে নামল বনবিভাগ। তবে তার আগেই ওই হাতির দল ভাঙচুর করল রেল সেতুর কাজের জন্য ক্যাম্প অফিস। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়িতে…

তিস্তায় হাতির পাল। হাতি তাড়াতে নামল বনবিভাগ। তবে তার আগেই ওই হাতির দল ভাঙচুর করল রেল সেতুর কাজের জন্য ক্যাম্প অফিস। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়িতে ফের বুনো হাতির হামলা আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

সাতসকালে ময়নাগুড়ি তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় চলে আসল প্রায় ১৫-১৬টি হাতির একটি দল। দলটিতে ২-৩টি শাবকও রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে তিস্তা সেতুর পাশে হাতিগুলিকে দেখতে পেয়ে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তিস্তা রেল সেতুর কাজের জন্য এই স্থানে রেলের ঠিকাদারি সংস্থার তরফে একটি ক্যাম্পও করা হয়েছিল। ওই ক্যাম্পটি ভাঙচুর চালায় হাতির দলটি।

দীর্ঘ সময় হাতির দলটি তিস্তা সেতুর পাশেই ছিল। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য এই এলাকায় এর আগে হাতি আসেনি। হাতিগুলো যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তার পাশে রেললাইন ও জাতীয় সড়ক রয়েছে। কোনোভাবে সেখানে রেললাইন বা জাতীয় সড়কে হাতি গুলি উঠে পড়লে সমস্যা বাড়ত। খবর পেয়ে বনদপ্তর থেকে কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। পরে হাতির দলটি নদীর মাঝখানে চলে যায়। সেখানেই অনেক বেলা পর্যন্ত জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাতিগুলোকে।

এর আগে গুলমা ও সেবক স্টেশনের মাঝে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বুক চিরে চলে যাওয়া রেললাইনের ওপর দিয়ে জরুরিকালীন ব্রেক কষে হাতির প্রাণ বাঁচান দুই ট্রেন চালক। ওই রুটে শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনগামী আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আসছিল। দূর থেকে বিশাল একটি হাতির এমন গতিবিধি দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন চালক।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সেবকের টানেলের সামনে রেললাইনের ওপর দিয়ে দুলকি চালে হেঁটে যাওয়া একটি দাঁতালকে নিরাপদে পার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ধুবুরি-শিলিগুড়ি ডিএমইউ এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট শঙ্কর কুমার ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট দীপক কুমার। এই নিয়ে গত সাড়ে ৩ মাসে সতর্ক রেল অন্তত ৪০-৫০ বার হাতিদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে।