থিক থিক করছে মানুষ। গরমে দম বন্ধকর পরিস্থিতি। বোলপুরে এমন জনজোয়ার সম্ভবত বিশ্ববিখ্যাত পৌষ মেলার সময়েও হয় না, যতটা হলো জৈষ্ঠ্য মাসের গরমে অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট) কে চোখের দেখা দেখতে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে (Birbhum) আসায়।
টানা ৪৫ দিন জেলা ছাড়া, ঘর ছাড়া হয়ে কলকাতায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গোরু পাচার মামলায় তিনি সিবিআই জেরার প্রথম পর্ব শেষ করে শুক্রবার বোলপুরে ফিরলেন। ঘরে ফিরেই জেলার তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বার্তা দিলেন, আমি আছি, আমি মরিনি আমি আপনাদের সঙ্গেই থাকব।
এদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে শুরু ফের অস্বস্তি। কারণ, এদিনই অনুব্রত মণ্ডলকে ফের জেরা করার জন্য ডাক পাঠিয়েছে সিবিআই। তাকে ফের কলকাতার নিজাম প্যালেসে গোরু পাচার মামলায় হাজিরা দিতে হবে।
কোটি কোটি টাকার গোরু পাচার কান্ডে অনুব্রত মন্ডলের নাম জড়িয়েছে। পরপর সিবিআই নোটিশের পর সব রক্ষাকবচ সরে গেলে অনুব্রত মন্ডল সিদ্ধান্তে নেন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হবেন।
দেড় মাস আগের সেই চমকপ্রদ ইউটার্ন করেছিল অনুব্রতর নীল আলো লাগানো গাড়ি। সিবিআই আঞ্চলিক দফতর নিজাম প্যালেসে যাওয়ার আগে গাড়ি ঘুরিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চলে যান অনুব্রত মণ্ডল। জেরার আগে ফের অসুস্থ হন। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা জানান তাঁর দুটি অন্ডকোষে পুঁজ হয়েছে। এছাড়া হার্টের অবস্থা ভালো না। চিকিৎসা চলে। তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন।
রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যখন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর সিবিআই জেরা নিয়ে সরগরম এই আবহে অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার নিজেই নিজাম প্যালেসে হাজির হন।
টানা জেরার পর তিনি বেরিয়ে এসে অসুস্থবোধ করেন।ফের এসএসকেএম হাসপাতালে যান। সাময়িক চিকিৎসার পর শুক্রবার তিনি বোলপুরে ফিরলেন।
জনস্রোত ফুল বৃষ্টির মাঝে গরমে ক্নান্ত অনুব্রত মণ্ডলকে দেখে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। ততক্ষণে ফের সিবিআই সম্নুখে হাজিরার ডাক এসে গিয়েছে। মাইক হাতে অনুব্রত বললেন, আমি মরি নাই…।
<
p style=”text-align: justify;”>বোলপুরে জনতার ভিড় দেখে কে বলবে, বীরভূম জেলাতেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বালি ও কয়লা পাচারের বখরা নিয়ে টিএমসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গণহত্যা ঘটেছিল। সরকারি হিসেবে ১০ জন সংখ্যালঘুর মৃত্যু হয়েছে (বেসরকারি হিসেবে ১১-১২ জন) । যে ঘটনাকে সাধারণ শট সার্কিটে পুড়ে মৃত্যু বলে দাবি করেছিলেন অনুব্রত।