শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ, মাধ্যমিকে রেজিস্ট্রেশন এবার ঘরে বসেই

দীর্ঘদিন ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ত্রুটি ও ভুল (Madhyamik Registration) নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল রাজ্যের স্কুলগুলিকে। এই ত্রুটির জন্য বহু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার আগেই চাপে…

online-registration-opportunity-introduced-for-madhyamik-students-for-the-first-time-in-india

দীর্ঘদিন ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ত্রুটি ও ভুল (Madhyamik Registration) নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল রাজ্যের স্কুলগুলিকে। এই ত্রুটির জন্য বহু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার আগেই চাপে পড়ে যেত এবং মাঝেমধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়াত বিষয়টি। অবশেষে সেই দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটাতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ (Madhyamik Registration) নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে সম্পূর্ণ অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।

ডিজিটাল রূপান্তরের পথে রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবার একটি বিশেষ পোর্টাল চালু করছে, যার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে (Madhyamik Registration) সাত লক্ষ পরীক্ষার্থী উপকৃত হবে। ছাত্রছাত্রীরা এবার ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাচাই, সংশোধন ও নিশ্চিত করতে পারবে। কাগজপত্রের জটিলতা দূর হয়ে, স্বচ্ছ এবং নির্ভুল তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এটি এক বড় পদক্ষেপ। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য যারা মাধ্যমিক স্তরে এই ধরণের পূর্ণাঙ্গ অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করছে।

   

এই উদ্যোগের পেছনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রত্যক্ষ পরামর্শ ও নেতৃত্ব ছিল বলে জানিয়েছে (Madhyamik Registration) বিকাশ ভবনের আধিকারিকরা। শুধু ডিজিটাল রূপান্তর নয়, এটি প্রশাসনিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রকে আরও আধুনিক ও জবাবদিহিমূলক করে তুলবে।

পোর্টালের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী কী?

নতুন অনলাইন পোর্টালটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিজেরাই যাচাই করতে পারে। আগে ছাত্রদের পুরোপুরি স্কুলের উপরে নির্ভর করতে হতো। তথ্য ভুল হলে সংশোধনের জন্য বহুবার স্কুলে যাওয়া লাগত। এখন সেই ঝামেলা পুরোপুরি শেষ হতে চলেছে।(Madhyamik Registration) 

পোর্টালে লগ ইন করার জন্য প্রয়োজন হবে:

  • স্কুলের নাম

  • ছাত্র বা ছাত্রীর নাম

  • জন্মতারিখ

এই তথ্য দিয়েই পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন ডেটা যাচাই করতে পারবে। যদি কোনো ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তাহলে সেই ভুল পোর্টালের মাধ্যমেই সংশোধন করা যাবে। সংশোধনের আবেদন সরাসরি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও পৌঁছে যাবে।

Advertisements

কী সুবিধা পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা?

১. নির্ভুল তথ্য যাচাই ও সংশোধনের স্বাধীনতা:

পরীক্ষার্থীরা এবার নিজেরাই রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই করতে পারবে। (Madhyamik Registration) কোনো ভুল থাকলে অনলাইনেই তা সংশোধনের সুযোগ পাবে।

  1. সময় ও শ্রমের সাশ্রয়:

    আগে কাগজপত্রের ওপর নির্ভর করতে হত, যা সময়সাপেক্ষ ছিল। এখন অনলাইনে কয়েকটি ধাপেই কাজ শেষ।

  2. স্কুলের উপর নির্ভরতা কমবে:

    আগের মতো শুধুমাত্র স্কুলের ভুলে ছাত্রদের সমস্যায় পড়তে হবে না। ছাত্ররাই নিজেদের ডেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।(Madhyamik Registration) 

  3. মানবিক ভুল হ্রাস:

    কাগজপত্রে তথ্য লিখতে গিয়ে বা টাইপ করার সময় যে ভুল হত, সেটিও এখন অনেকাংশে কমে যাবে।

  4. স্কুলগুলির জন্যও সুবিধা:

    প্রতিটি ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন বিবরণ অনলাইনে একসঙ্গে দেখা যাবে। কোনো ভুল থাকলে তা চিহ্নিত করে সংশোধন করা সহজ হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ

এই উদ্যোগ শুধু একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো নয়, বরং শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা আনার এক বড় প্রয়াস। বহু বছর ধরে চলে আসা রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে এই পোর্টাল। আর সবচেয়ে বড় বিষয়, এতে পরীক্ষার্থীর উপর মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে।(Madhyamik Registration) 

মাধ্যমিক রেজিস্ট্রেশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যখন এইভাবে ডিজিটাল হয়ে যায়, তখন তা শুধু প্রযুক্তির প্রয়োগ নয়, বরং শিক্ষায় বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তিও আরও মজবুত হয়। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও এই ধরনের উদ্যোগ দেখা যাবে।

এই নতুন পদ্ধতি সফল হলে, তা গোটা দেশের জন্যও অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পারে। শেষমেশ, শিক্ষার্থীদের উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।