মনিপুরের এই লেফট ব্যাকের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে চলেছে পাঞ্জাব এফসি

গত আইএসএল মরসুম শুরুর আগে নিজেদের দলের একাধিক ফুটবলারকে ছেড়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স‌। মূলত লোন ডিলের মাধ্যমে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে তাঁদেরকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন যথাক্রমে লিকমাবাম…

Likmabam Rakesh

গত আইএসএল মরসুম শুরুর আগে নিজেদের দলের একাধিক ফুটবলারকে ছেড়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স‌। মূলত লোন ডিলের মাধ্যমে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে তাঁদেরকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন যথাক্রমে লিকমাবাম রাকেশ, বিকাশ সিং, টমাস চেরিয়ান, মুহাম্মদ আজসাল এবং মোহাম্মদ আরবাজ। যার মধ্যে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সিতে আইএসএল খেলেছিলেন বিকাশ সিং। অপরদিকে পাঞ্জাব এফসির জার্সিতে প্রথমবারের মতো দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ খেলেছিলেন লিকমাবাম রাকেশ (Likmabam Rakesh Meitei)। অপরদিকে আইলিগ খেলেছিলেন বাকি তিন ফুটবলার। যাদের মধ্যে টমাস চেরিয়ান যোগদান করেছিলেন চার্চিল ব্রাদার্সে, মুহাম্মদ আজসাল যোগ গোকুলাম কেরালা এফসিতে এবং মোহাম্মদ আরবাজ রিয়াল কাশ্মীর এফসিতে।

তবে এবার মনিপুরের তরুণ লেফট ব্যাক লিকমাবাম রাকেশকে নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য। বলাবাহুল্য, গত সিজনে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসিতে যোগদান করার পর যখনই সময় পেয়েছেন নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন এই ডিফেন্ডার। দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব থেকে লোন চুক্তিতে আইএসএলের এই ফুটবল দলের আসার পর গোটা মরসুম জুড়ে দলের হয়ে খেলতে পেরেছিলেন প্রায় পাঁচটি ম্যাচ। সেভাবে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট পাঞ্জাব শিবির। সেজন্য, এবার নয়া মরসুমের কথা মাথায় রেখে নাকি তাঁর সঙ্গে লোন চুক্তি বাড়াতে চাইছে পাঞ্জাব।

   

সেইমতো কথাবার্তাও নাকি এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা দূর। সব ঠিকঠাক এগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে চুক্তি বাড়ানোর বিষয়টি। বলাবাহুল্য, ডুরান্ড কাপের পর গত মরসুমে যথেষ্ট দাপটের সাথে প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএল শুরু করেছিল পাঞ্জাব এফসি। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সকে। তাঁদের এমন পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছিল সকলকে। পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছিল ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেছিল পাঞ্জাবের এই শক্তিশালী ফুটবল দল। যারফলে একটা সময় সুপার সিক্সের অন্যতম দাবিদার হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল তাঁদের।

Advertisements

যদিও সেটা বজায় থাকেনি দ্বিতীয় লেগে। বরং একের পর এক ম্যাচে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছিল এই দলকে। সেই হতাশা কাটিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো ফলাফল করার লক্ষ্য থাকলেও বেশিদূর এগোনো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। যারফলে খালি হাতেই শেষ হয়েছিল সিজন। তবে সেই সমস্ত কিছু ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়াবার লড়াই।