সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড-হারবারের সাতগাছিয়ায় (Abhishek Banerjee) এক জনসভা আয়োজন করেন। এই (Abhishek Banerjee) সভার নাম ছিল ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, যা প্রতিবারই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
(Abhishek Banerjee) এবারের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সাংসদ তহবিলের মাধ্যমে ডায়মন্ড-হারবারের উন্নয়ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন এবং সে সম্পর্কিত তাঁর বই ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ প্রকাশ করেন। বইটি প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তাঁর গত কয়েক বছরের সাংসদীয় দায়িত্ব পালনের খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরেন এবং জনগণের সামনে তাঁর উন্নয়নমূলক কাজগুলোর বিস্তারিত বিবরণ দেন।(Abhishek Banerjee)
বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন নিজেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।(Abhishek Banerjee) মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই বইটি আমার সাংসদীয় কাজের একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, যেখানে রয়েছে আমার ৫ কোটি টাকার সংসদ তহবিলের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব।’’ তিনি জানান, বইটির পাতা সংখ্যা ৬৯৫, যা পূর্বে (Abhishek Banerjee) ছিল মাত্র ৫০ থেকে ৬০ পৃষ্ঠা। সময়ের সাথে সাথে বইটির পাতা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ তাঁর সংসদীয় কাজের পরিধি এবং পরিমাণও বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বইটি ছিল ছোটখাটো, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ এবং বিধায়ক তহবিলের কাজের বাইরে আমার সাংসদীয় তহবিলের কাজ এবং উন্নয়নের প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট বইয়ের মধ্যে জায়গা পেয়েছে।’(Abhishek Banerjee)
এদিনের সভায় অভিষেক আরও বলেন(Abhishek Banerjee) ‘‘আমি যখন ২০১৪ সালে প্রথম প্রচারে ডায়মন্ড হারবারে এসেছিলাম, তখন দেখেছিলাম যে কোথায় কোথায় খামতি আছে। মানুষের সমস্যাগুলো দেখতে পেয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি সেই সময় তাঁদের এক কথায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আমি যদি এখানে নির্বাচিত হই, তবে আমি কাজ করব এবং কাজ করে দেখাব।’’(Abhishek Banerjee)
অভিষেক তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন(Abhishek Banerjee) ‘‘ফলতা-মথুরাপুর অঞ্চলে ভারতের সবচেয়ে বড় জলপ্রকল্প আমরা শুরু করেছি। এই প্রকল্পটি লাখো মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি চাইছে যে এসব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাক, তবে আমি জানি, মানুষের জন্য কাজ করাটা সবচেয়ে বড় কাজ।’’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন যে, তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য তিনি বিশাল অংকের অর্থ বরাদ্দ করেছেন, যার মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।(Abhishek Banerjee)
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি একটি চিঠি দেখাব, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, আমি ডায়মন্ড হারবারের ৭৬ হাজার প্রবীণ নাগরিককে শ্রদ্ধার্ঘ প্রদান করেছি।(Abhishek Banerjee) আর সেই সময়েই বিজেপি তাদের ইনকাম ট্যাক্স চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে এই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এটা এক ধরনের অশুভ প্রয়াস।’’ তিনি বলেন, ‘‘এটা আমি কারও পরামর্শ ছাড়া করেছি, কারণ গরিব মানুষের হাতে অর্থ তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি(Abhishek Banerjee) , এবং সেটা যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেটাই তাদের চেষ্টা।’’
(Abhishek Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, ‘‘যারা ডায়মন্ড-হারবার মডেল নিয়ে বিদ্রুপ করছেন, তাঁদের উচিত এই বইটি পাঠ করা। কারণ এই বইতে আমার সাংসদ তহবিলের হিসাব রয়েছে, এবং এটি শুধুমাত্র আমার কাজের হিসাব নয়, এটি জনসাধারণের জন্য এক জবাবদিহি হিসাবও।’(Abhishek Banerjee)
সভায় অভিষেক আরও জানান, ‘‘ডায়মন্ড-হারবারের সাতটি বিধানসভা এলাকা রয়েছে। আমি প্রতিটি বিধানসভায় এই কর্মসূচি করি এবং আজ (Abhishek Banerjee) সাতগাছিয়ায় সেটা শুরু করেছি। পরবর্তী ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কর্মসূচি হবে মহেশতলার বাটানগরের মাঠে।’’ তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ডায়মন্ড-হারবারের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়ন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা পুনরায় তুলে ধরেন(Abhishek Banerjee)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বইটি শুধু একটি রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রচারণার উপকরণ নয়, বরং এটি এক ধরনের আত্মসমালোচনা এবং জনসমক্ষে নিজের কাজের হিসাব দেওয়ার মাধ্যমও। তিনি যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর কথা তুলে ধরেছেন, তা নিঃসন্দেহে ডায়মন্ড-হারবারের মানুষের(Abhishek Banerjee) জীবনযাত্রায় একটি পরিবর্তন আনবে। তার এই উদ্যোগে আরও একবার স্পষ্ট হলো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রেখেই জনগণের পাশে থাকতে চান এবং তাঁকে এই দায়বদ্ধতা পালন করতে কোনো রাজনৈতিক বাধা আসলে তিনি তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন।
‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বইটি অভিষেকের কাজের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা এবং প্রতিশ্রুতি, যা ভবিষ্যতে আরো বহু মানুষকে সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।(Abhishek Banerjee)