রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছে নবান্ন। (Doctor’s Day) আগামী ১ জুলাই, চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে অর্ধদিবস ছুটি। এই বিশেষ ছুটি দিনটি সরকারি কর্মীদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করছে, কারণ ১ জুলাইয়ের দিনটি বাংলায় ও দেশজুড়ে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিবস(Doctor’s Day)
চিকিৎসক দিবস এবং বিধানচন্দ্র রায়ের অবদা(Doctor’s Day)
১ জুলাই, ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী হিসেবে(Doctor’s Day) ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি শুধু রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, বরং একজন বিশিষ্ট চিকিৎসকও ছিলেন। তাঁর জীবন এবং কর্মের অবদান দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য অমূল্য। ১৯৬২ সালে ডা. বিধানচন্দ্র(Doctor’s Day) রায়ের মৃত্যু হলে, তাঁর সম্মানে ১ জুলাইকে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালনের প্রথা চালু হয়। রাজ্যে এ দিনটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়, যেখানে স্বাস্থ্য খাতে তাঁর অবদানকে স্মরণ করা হয়।
১ জুলাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ছুট(Doctor’s Day)
এ বছরও ১ জুলাই, মঙ্গলবার, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করেছে। সরকারি অফিসগুলোর কাজ দুপুর দু’টা পর্যন্ত চলবে এবং তারপর বন্ধ হয়ে যাবে। তবে, এই ছুটি সকল দপ্তরের কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। কলকাতার রেজিস্ট্রার অফ অ্যাসিউরেন্স এবং কালেক্টর অফ স্ট্যাম্প রেভিনিউ-এর অফিসের কর্মীরা এই ছুটি থেকে বাদ থাকবে। তাদের অফিস খোলা থাকবে এবং কর্মীরা যথারীতি কাজ করবেন(Doctor’s Day)
এছাড়া, রাজ্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরের কর্মীরা(Doctor’s Day) যাদের অফিসের কাজ সাধারণত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকে, তারা এই বিশেষ ছুটির সুবিধা পাবেন। সরকারি কর্মচারীরা এই দিনে বিভিন্নভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন উদযাপন করবেন এবং সেদিন দুপুরের পর ছুটির সুবিধা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন(Doctor’s Day)
বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন(Doctor’s Day)
এটি শুধু সরকারি ছুটি নয়, ১ জুলাই রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়, যা শিরোনাম হয়েছে। এই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিধানচন্দ্র রায়ের ছবিতে(Doctor’s Day) মাল্যদান করা হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবিরও আয়োজন করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এই দিনে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুবিধা দেওয়া হয়, যা জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা নয়, সচেতনতা শিবিরও আয়োজন (Doctor’s Day) করা হয়, যেখানে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা দিক সম্পর্কে অবগত করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ আলোচনা সভা, সেমিনার এবং অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিবস পালনের জন্য প্রতি বছরই একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। বছরের পর বছর এ ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে রাজ্য সরকার, যাতে তাঁর স্মৃতি ও কাজগুলো মানুষকে জানানো যায় এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।(Doctor’s Day)
রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি(Doctor’s Day)
ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বাংলার স্বাস্থ্য খাত এক নতুন দিশা পেয়েছিল। তার তত্ত্বাবধানে রাজ্যে বহু সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। তার চিন্তা ছিল, “স্বাস্থ্যই সেরা সম্পদ”, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে, একটি সুস্থ জাতি একমাত্র এগিয়ে যেতে পারে। এই ধারণাটি তার সময়েই খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আজও বাংলার স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে(Doctor’s Day)
আজও বাংলার স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার উন্নতি এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তার চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজকের এই বিশেষ দিনে, রাজ্য সরকার এবং জনগণ উভয়ই একযোগে ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন পালনের মাধ্যমে তাঁর অবদান স্মরণ করবে।(Doctor’s Day)