মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোলবন্যার পর অখুশি ছেত্রী! দিলেন কঠিন বার্তা

  ইতিহাস গড়লেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও নাম নেই । এটাই যেন ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের (Indian Football Team) কোচ ক্রিসপিন ছেত্রীর (Crispin Chettri on Indian…

Indian Football Team Womens coach Crispin Chettri said We can still be better after record-breaking qualifiers win against Mongolia

 

ইতিহাস গড়লেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও নাম নেই । এটাই যেন ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের (Indian Football Team) কোচ ক্রিসপিন ছেত্রীর (Crispin Chettri on Indian Football Team)মূলমন্ত্র। মঙ্গোলিয়ার (Mongolia) বিরুদ্ধে ১৩-০ গোলের বিশাল জয়ে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ (AFC Womens Asian Cup) যোগ্যতা অর্জন পর্বে।

   

ইতিহাস গড়লেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও নাম নেই। এটাই যেন ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের (Indian Football Team) কোচ ক্রিসপিন ছেত্রীর (Crispin Chettri) মূলমন্ত্র। মঙ্গোলিয়ার (Mongolia) বিরুদ্ধে ১৩-০ গোলের বিশাল জয়ে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ (AFC Womens Asian Cup) যোগ্যতা অর্জন পর্বে নিজেদের সর্ববৃহৎ জয় তুলে নিলেও, ছেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দলকে আরও ভালো করতে পারে, আরও উন্নতি করতে হবে।

গত ম্যাচটি শুধু রেকর্ড নয়, আত্মবিশ্বাসের বড়ো জোগানও। তবে কোচ ছেত্রীর চোখে সংখ্যার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল পারফরম্যান্সের গভীরতা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “আমরা গোল করলাম ঠিকই, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমরা নিখুঁত খেলেছি। গোল করা কখনওই সহজ নয়, যে কোনও দলের বিপক্ষেই হোক না কেন। আমরা আরও পেশাদার হতে চাই, সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা আরও ভালো করতে পারি, সেটাই আমার বিশ্বাস।”
প্রথমার্ধে ভারত যদিও মাত্র চারটি গোল করতে পেরেছিল, তবু দ্বিতীয়ার্ধে গতি বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। মাঠ ছিল কিছুটা পিচ্ছিল ও অগোছালো, তবুও দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণে মঙ্গোলিয়া রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়ে।

এই ম্যাচে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম ছিল পিয়ারি জ্যাক্সা। (Crispin Chettri) প্রথম ছয় গোলের মধ্যে পাঁচটিই আসে তাঁর পা থেকে। তাঁকে নিখুঁতভাবে সাহায্য করেছেন গ্রেস ডাংমেই, যার তিনটি অ্যাসিস্ট ছিল দুর্দান্ত। যদিও ডাংমেই নিজে গোল করেন ম্যাচের শেষ দিকে, পেনাল্টি থেকে, তবে তাঁর অবদান উপেক্ষা করার নয়। সৌম্যা গুগুলোথ দুই প্রান্তেই দারুণ ড্রিবলিং ও গতি দেখিয়েছেন। বাঁ পায়ের এক নিখুঁত ভলিতে যে গোলটি তিনি করেন, তা হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় মহিলা দলের সেরা গোল গুলির মধ্যে একটি।

Advertisements

দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়রাও দারুণ প্রভাব ফেলেছেন। মালাবিকা সৌম্যার জায়গা নিয়ে ডান প্রান্তে নেমেই একটি দুর্দান্ত গোল করেন। প্রিয়দর্শিনী সেল্লাদুরাই প্রথম টাচেই বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরের টাচে নিচের কোণ দিয়ে নিখুঁত ফিনিশ করেন, যা চোখে লেগে থাকার মতো। কোচ ক্রিসপিন ছেত্রী বলেন, “প্রথমার্ধে আমরা একটু ধীর ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বল বেশি ঘোরানো ও পজিশনাল ফুটবলে মনোযোগ দেওয়ায় খেলার রিদম অনেক ভালো হয়েছে। আমরা কম দৌড়ে বেশি পাসিং খেলেছি। এতে খেলোয়াড়রাও বেশি স্বস্তিতে ছিল।”

টিসিএসের সিলিকন ভ্যালি প্রজেক্টে ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি মমতার

পরবর্তী ম্যাচ পাঁচ দিন পর, প্রতিপক্ষ টিমর-লেস্তে। তাদের প্রথম ম্যাচে ইরাকের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র হয়েছে। কোচ ও তার সহকারীরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত নিজেদের পরবর্তী পরিকল্পনার জন্য। “আমরা কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করব— মিডফিল্ডে আরও ধৈর্য, বাইরে থেকে শট নেওয়ার প্রবণতা, এবং আক্রমণে বৈচিত্র্য আনাই আমাদের লক্ষ্য,” জানান চেত্রী।

শেষ ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে স্বাগতিক থাইল্যান্ড। তাই গোল পার্থক্য বাড়িয়ে রাখা এখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে এই বড় জয় তাই শুধু ইতিহাস নয়, ভবিষ্যতের রসদও। ভারতীয় মহিলা ফুটবলের এই ধারাবাহিক উন্নতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে কোচের বক্তব্যই প্রমাণ করে দেয়—এই দলের চোখ কেবলমাত্র এক ম্যাচে থেমে থাকার নয়, তাদের গন্তব্য আরও বড়।