বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ও সিমলাপালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে (DVC) দেখতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডে একটু বৃষ্টি হলেই ডিভিসি (DVC)-র ড্যাম থেকে জল ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই প্লাবিত হয় জয়পন্ডা ও শিলাবতী নদী।”(DVC)
এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীরা (DVC) প্রশ্ন তুলেছেন, মন্ত্রী কি ভূগোল জেনে এই মন্তব্য করেছেন? বিজেপির বক্তব্য, “মন্ত্রীকে দেখে মনে হচ্ছে উনি ভূগোল বিষয়টা ভালো করে পড়েননি।”(DVC)
ডিভিসির জল আর শিলাবতী-বন্যা: বাস্তবতা কী বলছে?(DVC)
প্রসঙ্গত, ডিভিসির ড্যাম যেমন মাইথন ও পাঞ্চেত মূলত দামোদর নদী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এই ড্যামগুলি থেকে জল ছাড়া হলে দামোদর উপত্যকা অঞ্চলে তার(DVC) প্রভাব পড়ে ঠিকই, কিন্তু জয়পন্ডা বা শিলাবতী নদীর সঙ্গে দামোদরের সরাসরি কোনো সংযোগ নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, মাইথন বা পাঞ্চেত ড্যাম থেকে জল ছেড়ে দিলে কীভাবে শিলাবতী বা জয়পন্ডা প্লাবিত হয়(DVC)
স্থানীয় প্রশাসন ও নদীবিজ্ঞানীদের মতে, গত তিন দিনে বাঁকুড়া জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে নদীগুলির জলস্তর স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি ঢালু অঞ্চলে হওয়া ভারী বর্ষণ শিলাবতী নদীতে হঠাৎ করে জল বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।(DVC)
মন্ত্রী কী বললেন?(DVC)
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,(DVC) “ডিভিসির অনেক ড্যাম রয়েছে। অতিরিক্ত জল ছেড়ে দিলে সেটি নদী পথে অন্য নদীতে প্রবেশ করেই এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সব নদীই কোনো না কোনোভাবে যুক্ত। ফলে মাইথন বা পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল শিলাবতীতেও এসে পৌঁছতে পারে।”
তবে বিরোধীরা তাঁর এই বক্তব্যকে ‘ভ্রান্ত ধারণা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মন্ত্রী হয়ত রাজনৈতিক দায় এড়ানোর জন্য ডিভিসিকে দোষারোপ করছেন(DVC)
বিজেপির কটাক্ষ: “মন্ত্রী ভূগোল জানেন না”(DVC)
বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “মন্ত্রী কি জানেন না যে শিলাবতী নদীর উৎস, গতিপথ ও সংযোগ কোন নদীর সঙ্গে? মাইথন বা পাঞ্চেত থেকে জল ছেড়ে দিলে যে শিলাবতী প্লাবিত হবে — (DVC) এ কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি ভূগোল পড়েননি।”
বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিজের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতে এখন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর উপর দোষ চাপাচ্ছে(DVC)